Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

পুরপ্রধানের দোরগোড়ায় লুঠের চেষ্টা

পুজোর মুখে ফের প্রশ্নের মুখে খড়্গপুরের নিরাপত্তা। এ বার আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ খোদ পুরপ্রধানের বাড়ির সামনে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে খরিদা ফটকবাজার দুর্গাবাড়ি এলাকায়।

খরিদায় এমন আলো-আঁধারি পথেই ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয় রবিবার। ছবি: দেবমাল্য বাগচী।

খরিদায় এমন আলো-আঁধারি পথেই ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয় রবিবার। ছবি: দেবমাল্য বাগচী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:১৮
Share: Save:

পুজোর মুখে ফের প্রশ্নের মুখে খড়্গপুরের নিরাপত্তা। এ বার আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ খোদ পুরপ্রধানের বাড়ির সামনে।

রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে খরিদা ফটকবাজার দুর্গাবাড়ি এলাকায়। সোমবার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা গোলবাজারের এক কাপড়ের দোকানের ম্যানেজার প্রবীর সান্যাল। অভিযোগ, রাতে গোলবাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বৃদ্ধ প্রবীরবাবুকে সাইকেল থেকে নামিয়ে তাঁর ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধরও করা হয় তাঁকে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত ধরা পড়েনি কেউ।

রেলশহর খড়্গপুরে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি লেগেই রয়েছে। ক’দিন আগেই গোলবাজারে দুষ্কৃতীদের মারধরে প্রাণ গিয়েছে এক তরুণের। আর গত কয়েক মাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে একাধিক। সেপ্টেম্বরেই ভবনীপুরের গলির মধ্যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে স্কুল শিক্ষা দফতরের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মীর টাকা ছিনতাই হয়। গত ১৭ জুন মালঞ্চ টাটা ব্যাঙ্কের কাছে বাড়িতে ঢোকার আগে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সে দিন দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন এক কাঠমিস্ত্রিও। এ বার দুর্গাপুজোর চারদিন আগে ফের ছিনতাইয়ের অভিযোগে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। রাতেই থানায় গিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর দেবাশিস চৌধুরী। এই এলাকাতেই বাড়ি খড়্গপুরে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের। তিনিও বলেন, “বাড়ির সামনে এমন ঘটনা ঘটায় আমি নিজেও শঙ্কিত। যে কারও সঙ্গেই তো এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আমি নিজে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি।”

ঘটনাটি ঠিক কী?

রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ রোজকার মতো সাইকেলে গোলবাজারের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন প্রবীরবাবু। সাইকেলের হাতলে ঝুলছিল ব্যাগ। প্রবীরবাবুর দাবি, ওই ব্যাগে ব্যক্তিগত কাগজপত্র, মোবাইল ও কয়েকশো টাকা ছিল। খরিদা ফটকবাজার দুর্গামন্দির ছাড়িয়ে পুরপ্রধানের বাড়ির সামনে আসতেই পিছন থেকে মোটরবাইকে আসা তিন যুবকের একজন তাঁর ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করেন প্রবীরবাবু। অভিযোগ, এরপরেই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায় ওই যুবকেরা। প্রবীরবাবু ব্যাগ না ছাড়ায় মারধর করা হয় তাঁকে। শেষে বৃদ্ধ চিৎকার শুরু করলে পড়শি এক যুবক রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তখনই চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। প্রবীরবাবু বলছিলেন, “চিৎকার না করলে হয়তো ওরা হয়তো আমাকে মেরেই ফেলত।’’ এই বৃদ্ধের অভিযোগ, এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলে না, আলোরও যথেষ্ট অভাব। সেই সুযোগেই বাড়ছে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য।

স্থানীয়দের দাবি, বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ওই যুবকদের দুর্গাবাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তবে তাদের উদ্দেশ্য বোঝা যায়নি। বাইক নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালানোর সময় স্থানীয়রা তার নম্বর দেখেছিল। পুলিশকে তা জানানো হয়েছে। নিরাপত্তার অভাবের কথা মানেনি পুলিশ। সঙ্গে জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

municipality chairman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE