Advertisement
E-Paper

লক্ষ্য যাতায়াত, খাল খননের পরে ন’টি সেতু

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অধীনে ছোট বড় গুচ্ছ প্রকল্প রয়েছে। গোটা প্রকল্প রূপায়িত হলে ঘাটালবাসী তার সুফল পাবেন।

এখন দিয়েই খনন হবে চন্দ্রেশ্বর খাল। দাসপুরের চাঁদপুরে।

এখন দিয়েই খনন হবে চন্দ্রেশ্বর খাল। দাসপুরের চাঁদপুরে। নিজস্ব চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:০০
Share
Save

নতুন করে চন্দ্রেশ্বর খাল খননের পর ভাগ হবে গ্রাম। তবে গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে সচল থাকে, তার জন্য প্রস্তাবিত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার নতুন খালের উপর নয়টি পাকা সেতু নির্মাণ করবে সেচ দফতর। কোনও সেতু চওড়া হবে ১২ ফুট। আবার কোনওটি হবে ২৪ ফুট। সেতুগুলির লম্বায় হবে ২০০ ফুট। প্রস্তাবিত নয়টি সেতু তৈরির ডিপিআর সারা।সেতুর জন্য টাকাও বরাদ্দ হয়েছে।

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অধীনে ছোট বড় গুচ্ছ প্রকল্প রয়েছে। গোটা প্রকল্প রূপায়িত হলে ঘাটালবাসী তার সুফল পাবেন। তা ছাড়া মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের পর যাতে কোনও এলাকায় নতুন করে সমস্যা তৈরি না হয়, সেই দিকটিও সমানে নজরে রাখছেন বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারেরা। চন্দ্রেশ্বর খাল খনন করার ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখা হচ্ছে। ফলে শিলাবতী যতই ফুলেফেঁপে উঠুক, নদীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও চন্দ্রেশ্বর খালের উপর তার প্রভাব পড়বে না। খাল যতটা জল বইতে সক্ষম হবে, তত পরিমামই জল স্লুইশ থেকে খালে ঢোকানো হবে। একই সঙ্গে বর্ষায় সময় যাতে খালের দুই পাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ে, তার জন্যও তৎপর রাজ্য সরকার। প্রস্তাবিত খালের উপর পৃথক পৃথক জায়গায় নটি বড় পাকাপোক্ত সেতুও নির্মাণ করে দেবে প্রশাসন।

বৈকুণ্ঠপুর থেকে খাল খনন শুরু হবে। শেষ হবে গুড়লিতে। প্রথম পর্যায়ে অবশ্য দু’কিলোমিটার খাল কাটা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকিটা। বৈকুণ্ঠপুর থেকে গুড়লি পর্যন্ত আট দশটি গ্রাম রয়েছে। যেমন দাদপুর, ঝুমঝুমি, পলতাবেড়িয়া, সুরনারায়ণপুর, খড়দা-বিষ্ণুপুর, ডিহিচেতুয়া, গুড়লি। এই সমস্ত গ্রাম গুলির ফাঁকা জায়গা থেকে খালটি বেরিয়ে যাবে। খালটি বেশ চওড়া হবে। সেই মতো সেতু গুলিও তৈরি করা হবে। ওই সব গ্রাম গুলিতেই তৈরি হবে সেতু গুলি।

প্রস্তাবিত খালটি গ্রামের উপর দিকে যাওয়ায় গ্রাম গুলিও দু’ভাগ হয়ে যাবে। খাল কাটা হলে স্বাভাবিক যাতায়াত ব্যাহত হবে। তবে তার ফলে সংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, তার জন্য খাল কাটা শেষ হলেই সেতু তৈরির কাজও শুরু হয়ে যাবে। যাতে এতটুকুও সমস্যায় না পড়েন গ্রামের সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই এলাকায় গিয়ে কোথায় কোথায় ওই সেতু তৈরি হবে, তার স্থান নিবার্চন সহ সার্বিক পরিদর্শন হয়ে গিয়েছে।সেতু তৈরির পর অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য জায়গা চিহ্নিত করেই তৈরি হয়েছে ডিপিআর। খাল খাটার কাজ শেষ হলেই শুরু হবে সেতু তৈরির কাজ।

সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘চন্দ্রেশ্বর খালের উপর নয়টি সেতুও তৈরি হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতেই সংশ্লিষ্ট গ্রাম গুলিতে সেতু তৈরি করার চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে।তার যাবতীয় প্রস্তুতিও চূড়ান্ত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

ghatal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}