সংস্কারের পর মেদিনীপুরের রামমন্দিরের উদ্বোধন সোমবার। — নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে অযোধ্যায় রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগেই মেদিনীপুর শহরে রামমন্দিরের উদ্বোধন করতে চলেছে পুরসভা। পুর উদ্যোগে রাম, সীতা, হনুমানজির মন্দিরের সংস্কার এবং সন্ধ্যায় প্রতীকী গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার মকর সংক্রান্তির দিন সকাল ১০টায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন স্থানীয় বিধায়ক তথা অভিনেত্রী জুন মালিয়া। সন্ধ্যা ৬টায় বারাণসী থেকে আগত পুরোহিতদের দিয়ে গঙ্গারতির উদ্বোধন হবে। রবিবার সকাল থেকে কাঁসাই নদীর গান্ধীঘাটে চলছে সেই কর্মসূচির প্রস্তুতি।
মন্দিরের পুরোহিত অমিত পাণ্ডে জানিয়েছেন, সকাল ৯টায় শুরু হবে পূজা অর্চনা। হোম যজ্ঞ চলবে বিকাল পর্যন্ত। একটি আসনেই থাকবে রাম, সীতা এবং লক্ষণের মূর্তি। তার পাশে থাকবে হনুমান এবং মহাদেবের মূর্তি। গান্ধীঘাটে কাঁসাই নদীর পাড়ে রামমন্দিরের সংস্কার করেছে মেদিনীপুর পুরসভা। নবরূপে নির্মিত সেই রামমন্দিরই সংক্রান্তির দিন উদ্বোধন হবে। সেই সঙ্গে কাঁসাই নদীতে সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতিরও ব্যবস্থা করেছে মেদিনীপুর পুরসভা। বারাণসী থেকে ১০ জনের দল আসবে গঙ্গা আরতি করার জন্য। প্রতি মাসের পূর্ণিমায় হবে গঙ্গা আরতি।
পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘‘ওই এলাকায় একটি মন্দির ছিল। তা সংস্কার করে নবরূপে পূজা শুরু হবে মকর সংক্রান্তির দিন। মন্দিরটির নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বেনারস থেকে লোক আসবেন আরতি করতে।’’ কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলার শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাম সীতা দেবতা হিসেবে পূজিত হন। ধর্মীয় আচার অবশ্যই থাকবে। তবে পুরসভার কাছে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। দৈনন্দিন পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে আরও যত্নবান হওয়া উচিত।’’ তাঁকে গঙ্গা আরতি দেখার জন্য পুরপ্রধান আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে দাবি করে প্রাক্তন কাউন্সিলর বলেন, ‘‘সময় পেলে অবশ্যই যাব।’’ বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, ‘‘সবাইকে প্রভু রামের আশ্রয়ে আসতে হবে। তৃণমূলের বোধোদয় হয়েছে, এটা ভাল ব্যাপার। যত রামমন্দির হবে ততই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy