(বাঁ দিকে) ঊর্মিলা ভুঁইয়া এবং তাঁর পরিবার।
মহাকুম্ভে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বৃদ্ধার ঊর্মিলা ভুঁইয়ার। বৃহস্পতিবার রাতে দেহ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে মেদিনীপুর শহরে পৌঁছনোর কথা। এর পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার শালবনির বাড়িতে পৌঁছনোর কথা বৃদ্ধার দেহ। ঊর্মিলার পরিবারের অভিযোগ, ময়নাতদন্ত তো দূরের কথা, মৃত্যুর শংসাপত্রও দেয়নি উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা।
ঊর্মিলার একমাত্র ছেলে ঠিকাকর্মী দুলাল বলেন, ‘‘মা তীর্থস্থান ঘুরতে ভালবাসেন। সেই মতো বোনেদের সঙ্গেই উনি ঘুরতে যেতেন। প্রয়াগরাজে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটবে, বুঝতে পারিনি। পদপিষ্টের পর নিখোঁজ ছিল। পরে বোন অঞ্জনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে মায়ের দেহ দেখতে পায়। কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ওখান থেকে দেওয়া হয়নি। মারা গিয়েছে, এ রকম একটা কাগজ দিয়ে ছেড়েছে। তাই মেদিনীপুরে ময়নাতদন্ত করানোর জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।’’
বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ি যান শালবনির বিডিও রোমান মণ্ডল, মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সুজয় বলেন, ‘‘এত মানুষের সমাগম হবে জানার পরেও কেন আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে। ব্যর্থতার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। ওখানে ময়নাতদন্ত না করেই দেহ ছেড়ে দিয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে পরিবার সমস্যায় পড়বে, তাই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত করানো হবে। রাতে মেদিনীপুরে দেহ আসবে।’’ পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। দেহ মেদিনীপুরে এলে ময়নাতদন্ত করানো হবে মেডিক্যাল কলেজে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy