১৬ নম্বরে সনাতন গিরির নাম রয়েছে। নিজস্ব চিত্র
যুব তৃণমূলের ঘোষিত নতুন ব্লক কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার। আর তা নিয়েই ফের দেখা দিল বিতর্ক।
প্রাথমিকে শিক্ষক হিসাবে সিভিক নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। তারপরেও পঞ্চায়েত ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল শাসক দলকে। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে সরাসরি সিভিক ভলান্টিয়ারের উপস্থিতি পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বিড়ম্বনায় ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই ঘটনাকে সামনে এনে সিভিক ভলান্টিয়ারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষিত হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে ব্লক তৃণমূল কমিটি ও যুব কমিটি ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্লকগুলিতে গোষ্ঠীকোন্দলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এগরা-২ ব্লক যুব তৃণমূলের কমিটি ঘোষিত তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এগরা-২ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি স্বপন পাত্র গত ১৭ এপ্রিল সতেরো জনের কমিটি ঘোষণা করেন। অভিযোগ, সেই কমিটিতে সদস্য হিসেবে এগরা থানার সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির নাম রয়েছে। আর তা নিয়েই বেধেছে বির্তক।
যদি ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যুব তৃণমূলের তালিকায় সিভিক ভলান্টিয়ারের অন্তর্ভুক্তির বিষয় তাঁদের জানা নেই। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরে নিচুতলার কর্মী হিসেবে কাজ করেন গ্রিন পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের মতো কর্মীরা। যদিও হাইকোর্ট কয়েক দিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের সীমা নির্দেশ করে দিয়েছে। শুধুমাত্র ট্রাফিক ব্যবস্থায় সিভিকদের ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
এই পরিস্থিতিতে এগরা থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার যুব তৃণমূলের কমিটির পদাধিকারী হওয়ায় সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের তৃণমূলীকরণ ও তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও সনাতন গিরি নামে ওই সিভিক বলেন, ‘‘আমাকে না জানিয়েই দলীয় কমিটিতে নাম রাখা হয়েছে। যুব সভাপতিকে আমার নাম বাতিল করতে বলেছি।’’
এগরা-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বরাজ খাঁড়া বলেন, ‘‘যুব তৃণমূলের তালিকায় সনাতন গিরি নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন এমনটা জানা নেই। যদি এমনটা ঘটে থাকে তাহলে তা উচিত হয়নি। পুলিশের মতো নিরপেক্ষ দফতরের একজন কর্মীর রাজনীতি করা অশোভনীয়। দলীয় স্তরে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিষয়টি নিয়ে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’
কাঁথি সাংগঠনিক বিজেপির জেলা সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেন, ‘‘হাই কোর্ট গুরুত্ব বুঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব থেকে সিভিকদের সরিয়ে দিয়েছে। ওরা যে তৃণমূলের ক্যাডার, আগেও বলেছিলাম। এগরার এক সিভিক ভলান্টিয়ার তৃণমূলের কমিটিতে আসায় আমাদের দাবি পূর্ণতা পেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy