শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কাছে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, বাজার। সেই রাস্তাই কি না যন্ত্রণার!
পিচ উঠে বেরিয়ে পড়েছে খানাখন্দ। বর্ষা হলে কাদা আর বাকি সময় ধুলোয় ভরে থাকে রাস্তা। পথচলতি মানুষ রোজইৃ হোঁচট খায়। তাও কনকপুর যাওয়ার এই রাস্তার হাল ফেরানোর কোনও উদ্যোগ নেই। পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খানের স্বীকারোক্তি, “এই রাস্তার অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ।” কেন সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না? পুরপ্রধানের সাফাই, “আসলে ওটা রেলের এলাকা। রাস্তাটি সারানোর জন্য রেলকে আগেও জানিয়েছি।”
শহরের এই রাস্তা দিয়ে রোজ শয়ে শয়ে গাড়ি চলাচল করে। পাঁশকুড়ার এক অটো চালক বলছিলেন, “রাস্তার এই বেহাল দশার জন্য ভাড়ার টাকা গাড়ি সারাতেই খরচ হয়ে যায়!” স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ জানার কথায়, “প্রচুর গর্ত। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে।” কনকপুর মোড় পাঁশকুড়ার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর একটি। অদূরেই রয়েছে জেলার অন্যতম বড় কলেজ পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে একাধিক বিএড কলেজ, একাধিক বাংলা ও ইংরাজি মাধ্যমের স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল প্রভৃতি। বাস চালকদেরও বক্তব্য, খারাপ রাস্তায় চলাচলের ফলে বাসের ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, এখানে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। তাও এই রাস্তার হাল ফেরানোর উদ্যোগ নেই।
কনকপুর যাওয়ার এই বেহাল রাস্তার পাশে আবার জবরদখল বাড়ছে। বেশির ভাগ ঝুপড়িই রাস্তার ওপর উঠে আসছে। ফলে, চরম সমস্যায় পড়ছেন পথচলতি মানুষ। রাস্তার ওপর যেখানে সেখানে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার ফলে চলাফেরা করাও দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, সমস্যার কথা কারও অজানা নয়। তবে কেউই সমাধানের উদ্যোগ নেননি। শুধু কনকপুর যাওয়ার ওই রাস্তা নয়, শহরের আরও কিছু রাস্তা বেহাল। ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। গর্ত বোজাতে মাঝেমধ্যে জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়। যা থেকে আরও বেশি ধুলো ওড়ে। বারবার রাস্তাগুলো সারানোর দাবি উঠেছে। তাও সারানো হয়নি। পুরপ্রধানের আশ্বাস, “শীঘ্রই কিছু রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy