অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণের চেনা ছবিটা এমনই। —ফাইল ছবি।
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌকো যাতায়াতের অভিযোগ আগেও ছিল। বহুবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু টনক নড়েনি প্রশাসনের। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণের ঠেলায় এ বার জলে পড়ে গেলেন এক প্রতিবন্ধী যুবক। শুক্রবার ভোরে এমন ঘটনারই সাক্ষী রইল নন্দীগ্রামের কেন্দেমারিঘাট। তবে ওই যুবককে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে গিয়ে উদ্ধার করে অন্য একটি নৌকো।
ঘটনার জেরে নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণের অভিযোগ তুলে কেন্দেমারি ফেরিঘাটে বিক্ষোভ শুরু করেন অন্যান্য যাত্রীরা। সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ফেরিঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে থানায় ফেরিঘাটের মালিক ও যাত্রী প্রতিনিধিদের নিয়ে থানায় বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ- সভাপধিপতি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবু তাহের। বৈঠকের পর বেলা ১১ টা থেকে আবার নৌকা চলাচল শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি গ্রামের বছর ছাব্বিশের যুবক সুভাষ হলদিয়া টাউনশিপে একটি মাছের আড়তে কাজ করেন। প্রতিবন্ধী সুভাষের ডান হাত নেই। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় প্রথমে হলদি নদী পেরিয়ে হলদিয়ার দিকে যাওয়ার কেন্দেমারি ফেরিঘাটে নৌকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। যাত্রীদের অভিযোগ, নৌকায় এক যাত্রী সাইকেল নিয়ে ওঠার সময় ভিড়ের চাপে সুভাষ নদীতে পড়ে যান। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে কয়েকজন যাত্রী অন্য একটি নৌকা নিয়ে সুভাষকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করে। খেয়া ঘাট থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার হলদিয়ার থার্ড ওয়েল জেটির কাছে সুভাষকে উদ্ধার করা হয়।
নন্দীগ্রামের রাজারামচক হাইস্কুলের শিক্ষক দেবাশিস দাসের অভিযোগ, ‘‘নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহনের পাশাপাশি সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে পারাপার চলে। ফলে খুব ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। এ নিয়ে বারবার বলা সত্বেও কোন সুরাহা হয়নি।’’ বৈঠকে উপস্থিত জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘‘নৌকার মালিকপক্ষকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ করার জন্য ও ভোর ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত নৌকা চালানোর জন্য বলা হয়েছে।’’ নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ অস্বীকার করে ফেরি মালিক রবীন্দ্রনাথ দাসের দাবি, ‘‘এ দিন ভোরে কুয়াশার কারণে নৌকার কাঠের পাটাতন জলে ভিজে গিয়েছিল। পা হড়কে গিয়ে ওই যাত্রী জলে পড়ে যায়। এর সঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy