ফুটব্রিজের সিঁড়িতে এ ভাবেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের। নিজস্ব চিত্র।
ক’দিন আগেই ফুট ওভারব্রিজে হুড়োহুড়িতে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে সাঁতরাগাছি স্টেশনে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। শনিবার অল্পের জন্য তেমন দুর্ঘটনা এড়াল ঝাড়গ্রাম।
সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শেষ মুহূর্তে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের ঘোষণা করার ফলে ঝাড়গ্রাম স্টেশনের ফুটব্রিজে ওঠার জন্য যাত্রীদের মধ্যে তুমুল হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন বয়স্ক যাত্রীরা। তার জেরে ক্ষোভ ছড়ায়।
টাটা থেকে হাওড়াগামী স্টিল এক্সপ্রেস প্রতিদিন তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মেই আসে।
কোনও দিন তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে অন্য ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলে পাশের ৪ নম্বরে স্টিল দাঁড়ায়। কিন্তু এ দিন ৩ ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় স্টিল ঢোকার কয়েক মিনিট আগে ঘোষণা করা হয় এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে স্টিল আসছে। এর পরই যাত্রীদের মধ্যে ফুটব্রিজে ওঠার জন্য তুমুল হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। সরু ফুটব্রিজ দিয়ে কয়েকশো যাত্রী মালপত্র নিয়ে ওঠার চেষ্টা করলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
প্রবীণ যাত্রী সঞ্চিতা সরকার বলেন, ‘‘কুলিকে ভাড়া দিয়ে মালপত্র নিয়ে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলাম। শেষ মুহূর্তে প্ল্যাটফর্ম বদলের ঘোষণায় খুবই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ঠেলাঠেলিতে পায়ে চোট পেয়েছি।’’ আর এক যাত্রী উজ্জ্বল করের কথায়, ‘‘অসুস্থ মাকে নিয়ে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলাম। এ ভাবে প্ল্যাটফর্ম বদল হওয়ায় মাকে নিয়ে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়েছে।’’ বেশি মালপত্র থাকায় ওপারে গিয়ে ট্রেন ধরতে পারেননি প্রবীণ সুধাংশু মুখোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম স্টেশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এ দিন ডাউন লাইনে কিছু সময়ের মধ্যে দু’টি মালগাড়ি চলে আসায় তিন ও চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই দুটি মালগাড়িকে দাঁড় করাতে হয়। সেই কারণে স্টিল এক্সপ্রেসকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকাতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy