Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

পরিবেশ দিবসে নব রূপে চিল্কিগড়ের গাছপালা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিল্কিগড় জঙ্গলে প্রায় দুশো হনুমান ও নানা ধরনের পাখি রয়েছে| পর্যটক ও মন্দির-দর্শনার্থীদের হাতে খাবার দাবার ও পুজোর সামগ্রী দেখতে পেলেই কেড়ে নেয় হনুমানের দল। এ নিয়ে পর্যটকরা ক্ষোভও প্রকাশ করেন।

পরিচয়: গাছের গায়ে লাগানো নেমপ্লেট। নিজস্ব চিত্র

পরিচয়: গাছের গায়ে লাগানো নেমপ্লেট। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ১২:৪৫
Share: Save:

সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নতুন রূপে সেজে উঠল চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির চত্বর লাগোয়া জঙ্গল| ৫০টি প্রজাতির কয়েকশো গাছের গায়ে লাগানো হল ‘নেমপ্লেট’।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর প্রকাশ কর্মকারের নেতৃত্বে একটি দল গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গলের প্রাচীন গাছগুলিকে চিহ্নিতকরণের কাজ করেছেন। এদিন সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে গাছগুলির গায়ে নেমপ্লেট লাগান জামবনির বিডিও মহম্মদ আলিম আনসারি এবং জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধল| সমীরবাবু বলেন, “জঙ্গলে বেড়াতে আসা মানুষজন নিজেরাই যাতে প্রতিটি গাছের সম্পর্কে নেমপ্লেট থেকে জানতে পারেন, সেই জন্যই এই উদ্যোগ।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিল্কিগড় জঙ্গলে প্রায় দুশো হনুমান ও নানা ধরনের পাখি রয়েছে| পর্যটক ও মন্দির-দর্শনার্থীদের হাতে খাবার দাবার ও পুজোর সামগ্রী দেখতে পেলেই কেড়ে নেয় হনুমানের দল। এ নিয়ে পর্যটকরা ক্ষোভও প্রকাশ করেন। খাবার নিয়ে হনুমানের উপদ্রব ঠেকাতে জঙ্গলে হাজারখানেক বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন| তারই পদক্ষেপ হিসাবে এ দিন বেশ কিছু ফলের চারাগাছ রোপণ করা হয়।

জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর কূল ঘেঁষা গভীর জঙ্গলের মাঝে কনকদুর্গা মন্দির। ৬১ একর এলাকা জুড়ে থাকা ওই জঙ্গলে তিনশোরও বেশি প্রজাতির দুষ্প্রাপ্য গাছ ও ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে। পুরো এলাকার দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে কনকদুর্গা মন্দির উন্নয়ন কমিটি ও জামবনি পঞ্চায়েত সমিতি। আগেই গোটা চত্বরটিকে প্লাস্টিক-বর্জিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে|

অন্য বিষয়গুলি:

Environment Day Trees Nameplates
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE