প্রতীকী ছবি
ভুয়ো চিকিৎসক ধরতে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে হাসপাতালগুলিতে। তবে এতদিন চিকিৎসকের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ নিয়ে তেমন মাথা ঘামাত না বেসরকারি হাসপাতালগুলি। একাধিকবার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ছোট শহর বা শহরতলির নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে। এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের নার্সিংহোমগুলিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা পাঠাল জেলার নার্সিংহোম মালিকদের সংগঠন।
গত বুধবার সংগঠনের জেলা কমিটির জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জেলার সমস্ত নার্সিংহোমকে খতিয়ে দেখতে হবে চিকিৎসকের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি। ‘পূর্ব মেদিনীপুর ডিসট্রিক্ট নার্সিংহোম ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কানাই দাস বলেন, ‘‘যাতে কোনও ভাবে কোনও ভুয়ো চিকিৎসক নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে না পারেন সে জন্যই এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।’’ তাঁর দাবি, জেলার সমস্ত নার্সিংহোমের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাঁদের মেডিক্যাল ডিগ্রি, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শংসাপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংগঠনের সদস্য নার্সিংহোমগুলিকে। ওইসব শংসাপত্র যাচাইয়ের জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পাঠাবে সংগঠন।
পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ১৮০টি নার্সিংহোম রয়েছে বলে সংগঠন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। এর মধ্যে সদর শহর তমলুকে ৩৮ টি নার্সিংহোম রয়েছে। এ ছাড়া কাঁথি, এগরা, হলদিয়া, পাঁশকুড়া, মেচেদা শহর-সহ জেলার গ্রামীণ বাজারগুলিতেও কিছু নার্সিংহোম রয়েছে।
অনেক সময়ই এ সব নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন জেলার সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা। তবে জেলার বাইরে থেকে আসা চিকিৎসকেরাও এখানে চিকিৎসা করেন। কিন্তু তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইয়ে তেমন গুরুত্ব এতদিন দেওয়া হত না বলে মানছেন নার্সিংহোম মালিকদের সংগঠন কর্তারা।
নার্সিংহোম সংগঠনের পদক্ষেপ নিয়ে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (সার্ভিস ডক্টরস শাখা) পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক যুগলচন্দ্র মাইতি বলেন, ‘‘খুবই ভাল পদক্ষেপ। জেলার বাইরে থেকে আসা চিকিৎসকরা বিভিন্ন চেম্বারে ও নার্সিংহোমে রোগী দেখেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস বলেন, ‘‘নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হবে। এ বিষয়ে তাঁরা কী কী পদক্ষেপ করবেন তা জানাতে শীঘ্রই বৈঠক ডেকে জানানো হবে।’’ এতে প্রকৃত চিকিৎসকদের সুবিধাই হবে।’’
তবে জেলায় এখনও পর্যন্ত কোনও ভুয়ো চিকিৎসক আছেন বলে অভিযোগ ওঠেনি। সে বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘ভুয়ো চিকিৎসক নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy