ফাইল চিত্র।
খড়্গপুর স্টেশনের একাধিক পরিষেবা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রেলের পূর্বাঞ্চলের ‘প্যাসেঞ্জার্স অ্যামেনিটিজ কমিটি’-র প্রতিনিধিরা। শনিবার কমিটির দুই সদস্য অশোক ত্রিপাঠী ও মনীষা চট্টোপাধ্যায় খড়্গপুর স্টেশন পরিদর্শন করেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের এডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান ও সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি।রেলের ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলার সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক প্যাসেঞ্জার্স অ্যামেনিটিজ কমিটি গঠন করা হয়। রেলের এই পূর্বাঞ্চলীয় কমিটিতে রয়েছেন পাঁচ জন সদস্য। যাত্রীরা রেলের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না তা দেখে রেল বোর্ডকে জানান কমিটির প্রতিনিধিরা। রেল বোর্ডের নির্দেশেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পরিদর্শনের পরে এ দিন খড়্গপুরে এসে পৌঁছন কমিটির দুই সদস্য।
কমিটির দুই প্রতিনিধি এ দিন খড়্গপুর স্টেশনের ১ থেকে ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখেন। স্টেশনের পরিচ্ছন্নতা সন্তোষজনক বলেই দাবি করেন তাঁরা। রেল পুলিশের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধিরা জানতে পারেন, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বা রেল লাইন থেকে কারও দেহ উদ্ধার করে সেই মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই। প্ল্যাটফর্মেই সেই দেহ রাখতে হয়।
রেল অনুমোদিত একটি রেস্তোরাঁয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র না চলায় ঊষ্মা প্রকাশ করেন অশোক ত্রিপাঠী। কেন যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রাখা হচ্ছে না তা নিয়ে সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজারকে প্রশ্নও করেন তিনি। রেলের পার্সেল অফিসের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা।
সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “আসলে এতদিন রেল পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহ রাখার ঘরের ব্যবস্থার কথা বলা হয়নি। এ জন্য আমাদের আলাদা ঘর আছে। আমরা সমীক্ষা করে সেই ঘরটি দেব।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রেস্তোরাঁয় কেউ ছিল না বলেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বন্ধ ছিল। আমি ওদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র চালানোর কথা বলেছি। পার্সেল অফিসেও জমে থাকা সামগ্রী নিলাম করা হবে।”
রেল যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেও সমস্যার কথা শোনেন কমিটির প্রতিনিধিরা। যাত্রীরা জানান, খড়্গপুর স্টেশনে যে সাবওয়ে রয়েছে তাতে ১১টি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে মাত্র চারটিতে যাতায়াত করা যায়। বাকি প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার কোনও সাবওয়ে নেই। সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজারকে দ্রুত ওই সাবওয়ে সম্প্রসারণের কথা বলেন তাঁরা।
এ দিন অশোক ত্রিপাঠী বলেন, “রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর নির্দেশে স্টেশন পরিদর্শনে এসেছিলাম। রেলমন্ত্রী যে ভাবে রেলের উন্নয়নের কাজ করছেন সেই সুবিধা যাত্রীরা পাচ্ছেন কি না সেটাই দেখলাম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘যাত্রীরা খুশি। তবে কয়েকটি বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। সে গুলি যাতে দ্রুত কাটিয়ে ওঠা যায় সে বিষয়ে রেল আধিকারিকদের জানিয়েছি। রেল বোর্ডেও বিষয়গুলি জানাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy