গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে পাইপ লাইনে জল সরবরাহ প্রকল্প চালু রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকায়। তবে যে সব গ্রামীণ এলাকায় এখনও সেই সুবিধা নেই, সেখানে ছোট ছোট জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। সোমবার জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিভাগের স্থায়ী সমিতির বৈঠকে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে এমনই।
জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস বলেন,‘‘জেলার যেসব এলাকায় বাসিন্দাদের কাছে পাইপ লাইন বাহিত পানীয় জল সরবরাহের সুবিধা এখনও পৌছেনি সেই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। আর সেই এলাকায় ছোট আকারের জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য স্কিম তৈরি করতে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের সাহায্য নেওয়া হবে।’’
জেলার অনেক গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে পানীয় জলের ভরসা বলতে এখনও সেই নলকূপ। কিন্তু গ্রীষ্মের সময় ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমে যাওয়ার জেরে নলকূপ অকেজো হওয়ার হার বেড়ে যায় ফলে পানীয় জলের সঙ্কট হয়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দফতের অধীনে থাকা জেলার ১১৯ টি জল সরবরাহ প্রকল্পগুলি পরিচালনা ভার এখন থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতেগুলির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
জেলা পরিষদ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় ১১৯ টি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প রয়েছে। এছাড়াও জেলার কোলাঘাট ও নন্দীগ্রামে বড় দু’টি জল সরবরাহ তৈরির কাজ চলছে। এর ফলে কোলাঘাট ব্লক, নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লক, চণ্ডীপুর, নন্দকুমার ব্লকের সমস্ত এলাকায় পাইপলাইন বাহিত পানীয় জল সরবরাহ করা যাবে।
এই পাঁচটি ব্লক বাদে জেলার বাকি ২০ টি ব্লকের যেস ব এলাকায় বর্তমানে জল সরবরাহ প্রকল্প নেই সেখানে নতুন করে ছোট আকারের জল সরবরাহ প্রকল্প তৈরি করা হবে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রামের ১০০-২০০ পরিবার পিছু একটি করে জল সরবরাহ প্রকল্প তৈরি করা হবে। এজন্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এভাবে জেলায় ১২৫ টি নতুন জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এইসব জলপ্রকল্পগুলি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত। পানীয় জল সরবরাহ বাবদ খরচের জন্য উপকৃত পরিবারের কাছ থেকে অল্প টাকা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy