অপরিষ্কার: বালিচকে নালার হাল এমনই। নিজস্ব চিত্র
নিয়মিত সাফাই হয় না আবর্জনা। জঞ্জালের দুর্গন্ধ আর মশার উৎপাতে প্রাণান্তকর অবস্থা ডেবরার বালিচকের বাসিন্দাদের।
বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসে ম্যালেরিয়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মঙ্গলবার জেলা জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। যদিও ম্যালেরিয়া বিনাশে মশা নিধনে বিশেষ হেলদোল নেই কারও।
ডেবরার ব্লক সদর বালিচকের অধিকাংশ গ্রামেই নেই নিকাশি নালা। রাস্তার ধারে সঙ্কীর্ণ নালা থাকলেও সেগুলি আবর্জনায় অবরুদ্ধ। অনেক বাড়ির পিছনেও জমে থাকে জল। মজে যাওয়া নয়ানজুলি ও নালায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা।
হামিরপুর, গোটগেড়িয়া, ভোগপুর-সহ ডুঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে গঠিত বালিচকে দিনে দিনে বসতি বাড়ছে। নিকাশি নালা না গড়েই যেখানে সেখানে বাড়ি তৈরি হওয়ায় জমে থাকছে জল। কোথাও মাঝপথে গিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছে নিকাশি নালা। আবার কোথাও ভাঙা নিকাশি নালায় জমে থাকে আবর্জনা।
বালিচক স্টেশন রোড এলাকার ছবিও একই। স্থানীয় ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ রাউত বলেন, “গোটা বালিচক এলাকাতেই নিকাশির হাল খারাপ। দীর্ঘদিনেও সমস্যা মেটেনি। সারা বছর মশার দাপটে আমরা নাজেহাল।”
বালিচকের ভোগপুর গ্রামে নিকাশির হাল সবচেয়ে খারাপ। গ্রামের অধিকাংশ এলাকাতেই নেই নিকাশি নালা। সারা বছর বাড়ির চারিদিকে জমে থাকে জল। নিকাশি নালার জল পড়ায় অনেক পুকুরও মশার আঁতুড়ঘর। স্থানীয় রবীন্দ্রপল্লি নাগরিক কমিটির সভাপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বালিচক রেলগেটের কাছে কালভার্ট না তৈরি করা পর্যন্ত দুর্দশা ঘুঁচবে না। এখন সারা বছর এলাকায় জল জমে থাকে। যেখানে সেখানে আবর্জনা। মশার উৎপাতে টেকা দায়।”
এ বিষয়ে ডুঁয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সমীর গাঁতাইত বলেন, ‘‘এলাকার অর্ধেক অংশে নিকাশি নালা রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি তৈরির জন্য নিকাশির সমস্যা হচ্ছে।’’ তাঁর আশ্বাস, ‘‘যে সমস্ত এলাকায় নিকাশির সমস্যা রয়েছে কয়েকদিনের মধ্যে তার তালিকা তৈরি করে সমস্যা সমাধানের কাজ করব।” এ নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মুনমুন সেন মণ্ডল বলেন, ‘‘বালিচকের বাসিন্দাদের সচেতনতার অভাবে এই সমস্যা হচ্ছে। জমির অভাবে আমরাও কাজ করতে পারছি না। তবে কোথাও সমস্যা নিয়ে এলাকার মানুষ আবেদন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy