Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

উজাড় ভোটে কেশিয়াড়ি জল্পনা বাড়াল  

রবিবারই মেদিনীপুর এবং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। ঘাটালে ভোট পড়েছে ৮২.০৭ শতাংশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ০০:২৫
Share: Save:

ভোটের হারে শীর্ষে কেশিয়াড়ি! কেশপুরের থেকেও এগিয়ে! ইভিএমের ‘সিল’ খোলার আগে ভোটের এই হার আপাতত জল্পনা জিইয়ে রাখছে জেলা রাজনীতিতে। বিরোধীদের দাবি, মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। শাসক দল অবশ্য এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের পাল্টা দাবি, মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে।

রবিবারই মেদিনীপুর এবং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। ঘাটালে ভোট পড়েছে ৮২.০৭ শতাংশ। মেদিনীপুরে ভোট শতাংশের হার ৮৪.১৩ শতাংশ। কমিশনের এক সূত্রে খবর, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে কেশিয়াড়িতে। ৮৮.৬৬ শতাংশ। ওই দুই কেন্দ্রের আর কোনও এলাকায় ভোটের হার এত বেশি নয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে কেশিয়াড়িতে পদ্মফুল ফোটে। পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিজেপি। অবশ্য কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি এখনও গঠন হয়নি। কবে হবে তাও জানাতে পারছে না প্রশাসন। বাকি কেন্দ্রগুলোর মধ্যে এগরায় ৮২.৫৩ শতাংশ ভোট পড়েছে, দাঁতনে ৮৪.৬০ শতাংশ, খড়্গপুর সদরে ৭২.৪৬ শতাংশ, নারায়ণগড়ে ৮৮.৩৮ শতাংশ, খড়্গপুরে ৮৭.৭৬ শতাংশ এবং মেদিনীপুরে ৮৪.৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পিংলায়, ৮৮.২৪ শতাংশ। বাকি কেন্দ্রগুলোর মধ্যে পাঁশকুড়া পশ্চিমে ৮১.৯৫ শতাংশ, সবংয়ে ৮৫.৭৯ শতাংশ, ডেবরায় ৮৬.০৬ শতাংশ, দাসপুরে ৭৩.৪১ শতাংশ, কেশপুরে ৮৫.২৭ শতাংশ এবং ঘাটালে ৮০.১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে। ভোট শেষ হতে চলেছে। তখনও আরও কিছু মানুষ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে। রবিবার কেশিয়াড়িতে এই ছবি চোখে পড়েছে। জেলার অন্যত্রও ভোট ঘিরে আমজনতার উৎসাহ দেখা গিয়েছে। অবশ্য গত লোকসভা ভোটে মেদিনীপুরে ভোট পড়েছিল ৮৪.১১ শতাংশ। ঘাটালে ভোট পড়েছিল ৮৫.০৮ শতাংশ।

কেশিয়াড়ির মতো এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপুল হারে ভোট মানে আসলে প্রতিষ্ঠান- বিরোধিতারই সূচক, এমনই দাবি করছে বিজেপি। তাদের মতে, মানুষ সরকারকে বার্তা দিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সামান্য কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বিজেপিও বিশেষ অভিযোগ করেনি কেশিয়াড়ির ভোট নিয়ে। যা থেকে উৎকন্ঠা দানা বাঁধছে শাসক শিবিরের অন্দরে! তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য বলেন, ‘‘বেশি ভোট পড়েছে বলে আমরা উদ্বিগ্ন হব কেন? মানুষ আসলে মরিয়া ছিলেন। বিরোধীরা অপপ্রচার করে যে অবস্থা তৈরি করেছিল, তাতেই মানুষ বেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা মনে করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপদে ফেলা মানে রাজ্যের বিপদ। তাঁরা জবাব দিয়েছেন।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের দাবি, ‘‘মানুষের আশীর্বাদ বিজেপির পক্ষেই আসবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Keshiary Lok Sabha Election 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE