Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

তৃণমূলকে টক্করে বুথস্তরে নয়া ভাবনা বামেদের

এলাকায় বামপন্থী সমর্থক হিসেবে পরিচিত নন। অথচ সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুবই নিবিড় সম্পর্ক। এলাকায় জনপ্রিয় মুখও বটে। লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের জন্য বামফ্রন্টের বুথস্তরে নির্বাচনী কমিটিতে দলের পদাধিকারী নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এমন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০০:৪২
Share: Save:

এলাকায় বামপন্থী সমর্থক হিসেবে পরিচিত নন। অথচ সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুবই নিবিড় সম্পর্ক। এলাকায় জনপ্রিয় মুখও বটে। লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের জন্য বামফ্রন্টের বুথস্তরে নির্বাচনী কমিটিতে দলের পদাধিকারী নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এমন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রবিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে লোকসভা ভোটের দিনক্ষন ঘোষণা করার পরে রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা শুরু হয়েছে।

ভোটের দিন ঘোষণার পর পূর্ব মেদিনীপুর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের পাশাপাশি বামফ্রন্টেরও প্রচার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সিপিএমের দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ২০ মার্চের মধ্যে জেলা, লোকসভা, বিধানসভা, অঞ্চল ও বুথ নির্বাচনী কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে সিপিএম এবং অন্য শরিক দলের পদাধিকারী নেতার পাশাপাশি যুব, মহিলা, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনের স্থানীয় নেতৃত্বকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বুথস্তরের নির্বাচনী কমিটিতে এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিদের রাখার কথা জানানো হয়েছে।

দলীয় সূত্রের খবর, গৃহশিক্ষক, চিকিৎসক-সহ বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা স্থানীয় মানুষের কাছে জনপ্রিয়, তাঁদের সম্মতি নিয়ে বুথ নির্বাচনী কমিটিতে রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের প্রচারে এ বার বুথ নির্বাচনী কমিটি গড়ায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে বামফ্রন্টের শরিক দল ও শাখা সংগঠনগুলির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে অরাজনৈতিক জনপ্রিয় ব্যক্তিদেরও রাখতে বলা হয়েছে। এ ধরনের পদক্ষেপ এই প্রথম। দ্রুত এই কমিটি গঠন করে প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে নামতে বলা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার তমলুক ও কাঁথি দুই কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীদের কাছে হারতে হয়েছে। তারপর বিধানসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা এলাকার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে জয়ী হয়েছিল বামপ্রার্থীরা। যদিও কয়েক মাসের মধ্যে বদলে যায় ছবিটা। তমলুক লোকসভার উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী। বামফ্রন্ট দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তাদের ভোটের হার কমে। শক্তি বৃদ্ধি ঘটে বিজেপির।

এই পরিস্থিতিতে এবার লড়াই আরও কঠিন বলে মানছেন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। তাই স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ছাড়াও এলাকায় জনপ্রিয় বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে ভোটে প্রচারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এধরনের ব্যক্তিরা ভোট প্রচারে সামিল হবেন কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। দলের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির অবশ্য দাবি, এমন অনেকেই তাঁদের প্রচারে সামিল হতে চাইছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE