আলো-নেই: রাত হলেই আঁধারে ডোবে রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
সন্ধে হলেই অন্ধকারে ঢেকে যায় স্টেশনে যাওয়ার রাস্তা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-হাওড়া শাখার বালিচক স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। যদিও স্টেশন সংলগ্ন রাস্তায় পথবাতি বসানো নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের হুঁশ নেই বলে অভিযোগ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং, ডেবরা, পিংলা, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, পটাশপুরের বাসিন্দারা এই স্টেশন দিয়েই যাতায়াত করেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বালিচক স্টেশনে গড়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। যাতায়াত করেন কয়েক হাজার যাত্রী। সন্ধে হলেই অন্ধকার রাস্তায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বিপাকে পড়েন এলাকার বাসিন্দারাও। এক রেল যাত্রীর কথায়, ‘‘অন্ধকারে নিরাপত্তা নিয়ে সকলে শঙ্কিত থাকি। রেল যে কেন এই রাস্তায় পথবাতি বসায় না সেটাই আশ্চর্যের।’’
স্টেশনে যাতায়াতের জন্য ডেবরা-সবং রাজ্য সড়ক থেকে বালিচক রেলগেটের উত্তর ও দক্ষিণ দিক দিয়ে চলে গিয়েছে দু’টি রাস্তা। এই দু’টি রাস্তাই রেলের। এর মধ্যে দক্ষিণ দিকের রাস্তাটি স্টেশনে ঢোকার মূল রাস্তা। বছর কয়েক আগে স্টেশনের দক্ষিণ দিকের এই রাস্তার কয়েকটি জায়গায় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সিএফএল আলো লাগানো হয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় সময়ই আলো জ্বলে না বলে অভিযোগ।
স্টেশনের উত্তর দিকের রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ। বছর কয়েক আগে রেল কর্তৃপক্ষ এই রাস্তায় পথবাতি লাগালেও জ্বলে না সেই আলো। ফলে অন্ধকারেই এই দু’টি রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। ভোগপুরের বাসিন্দা গৃহবধূ জয়া পালের অভিযোগ, “সন্ধ্যার পরে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় ভয় লাগে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি। সবকিছু জেনেও উদাসীন রেল কর্তৃপক্ষ। বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “পথবাতি-সহ স্টেশনের মানোন্নয়ন নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন লড়াই করছি। রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের কয়েকটি দাবি মেনেও নিয়েছেন। কিন্তু ওই রাস্তায় পথবাতি বসানো নিয়ে রেল উদ্যোগী হয়নি।” এ নিয়ে খড়্গপুর রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “বালিচক স্টেশনের মানোন্নয়নে নানা কাজ শুরু করেছি। স্টেশনের রাস্তাতেও পথবাতির ব্যবস্থা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy