অকেজো: পথবাতি থাকলেও জ্বলে না।—নিজস্ব চিত্র
ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বছর খানেক আগে সংস্কার হয়েছিল। তখন রাস্তার দু’ধারে লাগানো হয়েছিল পথবাতি। কিন্তু তা জ্বলে না। ফলে, সন্ধে নামলেই অন্ধকারে ডুবে থাকে পিংলার ডাকবাংলো থেকে কালীতলা হাসপাতাল মোড় রাস্তা।
পথ চলতে ঠোক্কর থেকে চুরি-ছিনতাইয়ের ভয়— অন্ধকার এই রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। বারবার দাবি জানিয়েও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে পথবাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি অবশ্য এর জন্য বাম আমলে পরিকল্পনার অভাবকে দুষছে। সেই সঙ্গে পুরনো পথবাতি বদলে নতুন করে পথবাতি লাগানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে পঞ্চায়েত সমিতির দাবি।
ডাকবাংলো থেকে কালীতলা পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার এই পথে রয়েছে পিংলা থানা, ব্লক অফিস, ব্লক হাসপাতাল, একটি হাইস্কুল ও পিংলা বাজার। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে পথবাতি না জ্বলায় দুর্ভোগে পড়েন বহু মানুষ। ২০১০ সালে তদানীন্তন বাম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি পিংলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পথবাতি লাগিয়েছিল। বছর দু’য়েক জ্বলেছিল সেই আলো। তারপর বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকায় পথবাতির সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। পরে ৩০হাজার টাকা দিয়ে বিল মেটানো হয়। অবশ্য ততদিনে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু পথবাতি। ২০১৩ সাল নাগাদ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে পথবাতি মেরামত করে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত। কয়েক মাস সেই আলো জ্বলার পরে ফের সমস্যা শুরু হয় বিদ্যুতের বিল নিয়ে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের খরচ স্থানীয় বাজার কমিটির কাছে চাওয়া হয়। কিন্তু বাজার কমিটি রাজি না হওয়ায় নিভে যায় আলো। তারপরই শুরু হয় দুর্ভোগ। স্থানীয় দোকানি সুবলচন্দ্র সিংহ বলেন, “বছর তিনেক হল পথবাতি লাগানো রয়েছে। কিন্তু তা জ্বলে না। রাতে খুবই সমস্যা হয়।”
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ মফিজুল বলেন, “বাম আমলে পরিকল্পনার অভাবে পথবাতি লাগানো হলেও বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় আলো নিভে গিয়েছিল। আমরা খরচ করে বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে পথবাতিগুলি মেরামত করেছিলাম। কিন্তু অঞ্চলের অন্য এলাকার মানুষ এই পথবাতির জন্য টাকা দিতে নারাজ। বাজার কমিটিও সাড়া দেয়নি।”
সমস্যা মেটাতে সম্প্রতি তাই স্থানীয় সাংসদ অভিনেতা দেবের দ্বারস্থ হয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতি। তাতে অবশ্য সাড়া মিলেছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীতা মুর্মু বলেন, “সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছি। সেই টাকা দিয়ে আমরা সৌরশক্তি চালিত পথবাতি লাগাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy