প্রতীকী ছবি।
কাটমানির অভিযোগ এ বার গ্রাম সংসদ সভাতেও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর-১ ব্লকের ভেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামসুন্দরপুর এলাকায় বসেছিল গ্রাম সংসদ সভা। সেখানেই ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নরেন নায়েক ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শিল্পী মাহাতোকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি ও তোলাবাজির টাকা ফিরিয়ে দিতে বলার পরেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেই আবহেই বৃহস্পতিবার ভেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে মূলত আয়-ব্যায়ের হিসাব, খসড়া প্রকাশ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সভার শুরুতেই আয়-ব্যায়ের প্রসঙ্গ ওঠে। তখন প্রধান জানান, পঞ্চায়েতের ল্যাপটপ খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই আয়-ব্যয়ের হিসাব পরে দেওয়া হবে। তখন কয়েকজন গ্রামবাসী প্রশ্ন করেন, তাহলে এখন সভা ডাকা হল কেন? এরপরেই তেতে ওঠে পরিস্থিতি। বঙ্কিম করণ, শঙ্কর পাতর-সহ কয়েকজন গ্রামবাসী অভিযোগ তোলেন, প্রধান ও ওই মহিলা কর্মাধ্যক্ষ কাটমানি ছাড়া কোনও কাজ করেন না। বাজ পড়ে মৃত দুই যুবকের পরিবারকে সরকারি সাহায্য করে দেওয়ার বিনিময়ে শিল্পী মাহাতো ৫৫ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপির যুব মোর্চার খড়্গপুর ১ মণ্ডল সভাপতি কুনাল দে বলেন, “কোনও দল নয়, গ্রামের মানুষ আয়-ব্যায়ের হিসাব চেয়েও না পাওয়ার ক্ষোভে ঘেরাও করেছিলেন। গ্রামবাসী হিসাবে আমিও ছিলাম। সারা রাজ্যের মতো এখানেও সরকারি পরিষেবা দিয়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা কাটমানি নেন।
যদিও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান নরেন নায়েকের দাবি, “আমি সকলকে জানিয়েছিলাম যে ল্যাপটপ বিকল থাকায় আপাতত হিসেব দিতে না পারলেও কয়েকদিনের মধ্যে দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরেও কয়েকজন বিজেপির লোক অকারণে সভায় গোলমাল করেছে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে ও কর্মাধ্যক্ষকে আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।” শিল্পীর দাবি, ‘‘আমি জেতার পরে শাসক-বিরোধী দেখিনি। সেই মতো এই দুই পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলাম। আমি কেন তাঁদের থেকে টাকা নেব! বিরোধীরা ওই দুই পরিবারকে উস্কে আমাকে বদনাম করতে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy