ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে সারদা মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে বিশেষ পুজো। নিজস্ব চিত্র।
তিনি সতেরও মা, অসতেরও মা। ১৭২ তম আবির্ভাব তিথিতে এখনও সমান প্রাসঙ্গিক তাঁর বাণী। সহজ ভাষায় লোকশিক্ষার এমন উদাহরণ তিনিই দিতে পারতেন।
রবিবার ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে সারদা মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে বিশেষ তিথি পুজোর আয়োজন করা হয়। এ দিন ভোরে ঝাড়গ্রাম শহরের সত্যবানপল্লির শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরে প্রথমে হয় মঙ্গলারতি। এর পর চণ্ডীপাঠ করেন মিশনের ঝাড়গ্রাম শাখার সহ-সম্পাদক স্বামী অলোকেশানন্দ। এর পর শুরু হয় বিশেষ পুজো। পুজোর দায়িত্বে ছিলেন মিশনের ব্রহ্মচারী বাপি মহারাজ। পুজোর তত্ত্বাবধানে ছিলেন মিশনের সন্ন্যাসী স্বামী ব্রহ্মেশ্বরানন্দ।
এ দিন মিশনের ঝাড়গ্রাম শাখার সন্ন্যাসী আবাসনের দোতলার কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। মিশনের ঝাড়গ্রাম শাখার সম্পাদক স্বামী বেদপুরুষানন্দ জানান, নতুন শিক্ষাবর্ষে ঝাড়গ্রাম শহরের শ্রীরামপুর এলাকায় মিশন পরিচালিত সিবিএসই বোর্ডের অধীনে সহশিক্ষামূলক ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চালু করা হচ্ছে। 'রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ' নামে ওই স্কুলে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারি মাসের গোড়ায় প্রকাশ করা হবে।
২০১৬ সালে শহরের সত্যবানপল্লি এলাকার সরকারি একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়টির পরিচালনার ভার মিশনের হাতে তুলে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। জনজাতি পড়ুয়াদের ওই স্কুলটি এখন রাজ্যের মধ্যে অন্যতম সেরা স্কুল হিসেবে বিবেচিত। তবে একলব্য স্কুলটি অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী কল্যাণ দফতরের অধীনে। সেখানে কেবলমাত্র জনজাতি পড়ুয়ারা পড়াশোনার সুযোগ পায়। এ বার সর্বসাধারণ পড়ুয়াদের জন্য মিশনের নিজস্ব উদ্যোগে স্কুল চালু হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২৫-’২৬) থেকে ওই নতুন স্কুলের পথ চলা সফল করতে ঝাড়গ্রামবাসীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মিশন কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy