বেড়াতে যাওয়ার জন্য কলকাতার এক ভ্রমণ সংস্থাকে অগ্রিম টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন খড়্গপুর আইআইটি-র কর্মীরা। ওই ভ্রমণ সংস্থার মালিক সুব্রত দাস খড়্গপুরে আসার পরে রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে টাউন থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি কলকাতার আর এন টেগোর রোডে। আইআইটি-র কয়েক জন কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন মিলিয়ে মোট ২৬ জন ওই সংস্থার মাধ্যমে আন্দামান-নিকোবর যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। বিমানে যাতায়াতের টিকিট কাটার জন্য সুব্রতবাবুকে অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, টাকা নিয়েও বেড়ানোর পরিকল্পনা বাতিল করে দেয় সংস্থাটি। তারপর টাকা ফেরতও দেয়নি। এরপর শনিবার আইআইটি-র কর্মীরা সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। তারপরই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
‘লিভ ট্র্যাভেলিং কনসেশন’ (এলটিসি)-এর টাকায় বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন খড়্গপুর আইআইটি-র ওই কর্মীরা। নিয়ম অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে ট্রেন, বিমান বা জাহাজে ভ্রমণের খরচ পেয়ে থাকেন সরকারি বা সরকার অধিগৃহীত সংস্থার কর্মীরা। প্রয়োজনে সরকারের কাছে আবেদন করে আগাম টাকা তুলে টিকিট কাটার ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু সেই টাকা বেড়াতে যাওয়ার কাজে ব্যবহার না করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফলে, আইআইটি-র কর্মীরা টাকা তুলে বিমানের টিকিট কাটার জন্য দিয়ে ফাঁপড়ে পড়েছেন। আইআইটি-র কর্মী অজয়কুমার দাস, কৌশিক দে বলেন, “আমরা আগেও বেশ কয়েকবার ওই ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে এলটিসির টাকায় বেড়াতে গিয়েছি। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম। টাকা ফেরত না পেলে আমরা বিপাকে পড়ে যাব।”
আইআইটি-র ওই কর্মীরা জানিয়েছেন, আন্দামান-নিকোবর যাতায়াতের জন্য বিমানের টিকিট কাটবেন বলে অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন সুব্রতবাবু। সব মিলিয়ে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু দিন কয়েক আগে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্দামান যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। তখন সুব্রতবাবুর কাছে টাকা ফেরত চান আইআইটি-র কর্মীরা। গত ৮ জুলাই সুব্রতবাবু খড়্গপুরে এসে টাকা ফিরিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত টাকা ফেরত দেননি তিনি। উল্টে নতুন করে বেড়ানোর জন্য আরও টাকা চান। এরপরই আইআইটি-র কর্মীরা সুব্রতবাবুকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। রবিবার তাঁরা অভিযোগ জানালে পুলিশ ওই ভ্রমণ সংস্থার মালিককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে আটক করে ওই ব্যক্তিকে, আইআইটি কর্মীদের থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি টাকা দিতে না পারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy