রুপোলি: দিঘা মোহনার বাজারে ইলিশ। নিজস্ব চিত্র
চলতি বছরে এ পর্যন্ত দিঘায় সবচেয়ে বেশি ইলিশ উঠল বৃহস্পতিবার। পরিমাণ ৮০ টন। রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ ওঠায় দামও এক ধাক্কায় নেমেছে অনেকটাই।
ইলিশ মরসুমের শুরুটা এ বার ঠিকমতো হয়নি। ইলিশের পথ চেয়েই মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের মরসুমের প্রথমটা কেটেছে। কিন্তু মরসুম যত সমানে এগিয়েছে ততই হাসি ফুটেছে ইলিশপ্রেমীদের মুখে। সেই সূত্রেই এ দিন এত পরিমাণে ইলিশ আসায় কার্যত ইলিশের গন্ধে ম ম দিঘা মোহনা। গত ৫ আগস্ট দিঘা মোহনায় ৩০ টন ইলিশ ধরা পড়েছিল। এদিন তার প্রায় তিনগুণ ধরা পড়লেও মাছের গড় ওজন খুব একটা বাড়েনি। প্রায়ই সবই ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম।
‘দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “আশি টন মাছ ধরা পড়ায় এক ধাক্কায় দামও কিছুটা কমেছে। দিঘা মোহনায় এদিন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম ছিল ৫৫০ টাকা। এক কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ বিকিয়েছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে। যদিও তা সংখ্যায় খুবই অল্প। মৎস্যজীবীদের দাবি, গত কয়েকদিন ভাল বৃষ্টি এবং পূবালী হাওয়াই এত পরিমাণ ইলিশ জালে পড়ার মূলে।
প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি ট্রলার মালিকরাও। ট্রলার মালিক চন্দন ভুঁইঞার কথায়, “প্রথমে মনে হয়েছিল মরসুমটা ইলিশের অপেক্ষাতেই কাটবে। কিন্তু সেই ধারণা ক্রমশ বদলাচ্ছে।’’ এ দিন শুধু দিঘা নয়, শৌলা, পেটুয়াঘাট ও শংকরপুর মৎস্য বন্দরেও ইলিশের একই ছবি। এক লপ্তে এত ইলিশ ওঠার জন্য দামও নাগালে হওয়ায় হাসি মধ্যবিত্তের মুখেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy