Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

অধ্যাপকের স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

আইআইটি-র এক অধ্যাপকের স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। রবিবার রাতে খড়্গপুর আইআইটি-র ডি-২ কোয়ার্টারে গার্গী চক্রবর্তী (৪৫) নামে ওই বধূর দেহ দেখতে পান পরিজনেরা। তাঁকে আইআইটি-র বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০০:৫৮
Share: Save:

আইআইটি-র এক অধ্যাপকের স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। রবিবার রাতে খড়্গপুর আইআইটি-র ডি-২ কোয়ার্টারে গার্গী চক্রবর্তী (৪৫) নামে ওই বধূর দেহ দেখতে পান পরিজনেরা। তাঁকে আইআইটি-র বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। মৃতার স্বামী অরুণ চক্রবর্তী আইআইটি-র ‘ওশিয়ান, রিভার, অ্যাটমস্ফিয়ার অ্যান্ড ল্যান্ড সায়েন্সেস’ বিভাগের অধ্যাপক। ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরুণবাবুর ছেলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ভিন্ রাজ্যে থেকে পড়াশোনা করে সে। দিন কয়েক আগে সে বাড়িতে এসেছে। মৃতার পরিবার সূত্রে দাবি, রবিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে গার্গীদেবী ঘরে ঘুমোতে যান। তখনও অরুণবাবু ও তাঁর ছেলে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় অরণ্যবাবু স্ত্রীকে অনেক বার ডাকাডাকি করেন। যদিও গার্গীদেবীর সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। শেষে দরজা ভেঙে ঢুকে গার্গীদেবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অরুণবাবুর দিদি শেফালি কয়েরীর দাবি, “কী ভাবে এমনটা হয়ে গেল বলতে পারছি না। ছেলে ভিন্ রাজ্যে পড়াশুনো করত। কিন্তু ছেলের খড়্গপুরের বন্ধুরা ভাল ছিল না।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘কয়েকদিন হল ছেলে বাড়িতে এসেছে। এই নিয়ে হয়তো কোনও সমস্যা হয়েছিল। আমি এর বেশি কিছু জানি না।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশেরও অনুমান, ছেলেকে নিয়ে হয়তো মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন গার্গীদেবী। সেই কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

অন্য বিষয়গুলি:

hanging body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE