রেলশহরে নতুন করে টোটো ও ই-রিকশা না নামানোর নির্দেশিকা জারি হল। শনিবার খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদীপ সরকারের কার্যালয়ে এক প্রশাসনিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশিকা মেনে ই-রিকশার তালিকাও তৈরি করবে পুরসভা। একইসঙ্গে বর্তমানে শহরের পথে চলাচলকারী টোটোগুলিকে ই-রিকশায় রূপান্তর করতে হবে বলেও জানা গিয়েছে।
খড়্গপুরে শহরে এখন চারশো অটো রয়েছে। টোটো ও ই-রিকশা মিলিয়ে প্রায় ২৬০টি ব্যাটারি চালিত যাত্রীবাহী গাড়ি চলছে শহরের রাস্তায়। বিগত দু’বছর ধরে ধাপে ধাপে শহরের রাস্তায় ব্যাটারি চালিত টোটো ও ই-রিকশা নেমেছে। প্রথম পর্যায়ে শহরের পথে নামে একশোর বেশি টোটো ও ই-রিকশা। অটোর রুটে যাত্রী বহন করার অভিযোগে টোটো ও ই-রিকশার চালকদের সঙ্গে চলছিল অশান্তি। প্রশাসনিক উদ্যোগে টোটো ও ই-রিকশার চালকদের সঙ্গে অটো চালকদের সমস্যার সমাধান করে টোটোর রুট নির্ধারণ করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পাঁচটি রুটে টোটো চলবে বলে ঠিক হয়। পরে আরও দু’টি রুট বাড়ানো হয়। পরে শহরে টোটো ও ই-রিকশার সংখ্যা আরও বাড়ে। প্রথমদিকে টোটো চালকদের অস্থায়ী সংগঠনের অধীনে ১২২টি টোটো ও ই-রিকশা ছিল। পরে টোটো ও ই-রিকশার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মাঝে মধ্যেই অটো চালকদের সঙ্গে গোলমাল বাধছিল।
জট কাটাতেই এ দিন মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বসে বৈঠক। বৈঠকে মহকুমাশাসক ছাড়া উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার, এসডিপিও বিবেক বর্মা, কাউন্সিলর জহরলাল পাল, দেবাশিস চৌধুরী প্রমুখ।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আর খেয়ালখুশি মতো শহরের রাস্তায় টোটো ও ই-রিকশা নামানো যাবে না। এখন যে সমস্ত টোটো চলছে তাও ই-রিকশায় বদল করতে হবে। এ বিষয়ে নজর রাখতে পুলিশকেও অনুরোধ করা হয়েছে।
শহরের রাস্তায় যে সব ই-রিকশা চলে, তার তালিকা তৈরি করে ‘আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ দিতে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার বলেন, “শহরের রাস্তায় যাতে নতুন করে টোটো ও ই-রিকশা না নামে সে জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সরকারি নিয়ম নেমে শুধু ই-রিকশা চলবে। টোটোগুলিকে ই-রিকশায় বদল করার কথাও বলা হয়েছে।’’ তিনি জানান, আপাতত পুরসভা শহরের ই-রিকশার তালিকা তৈরি করবে। ফের নতুন করে যাতে শহরের রাস্তায় টোটো ও ই-রিকশা না নামে সে জন্য নজরদারি চালানো হবে।”
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ই-রিকশার ‘আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ পাওয়ার জন্য আগামী বুধবারের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। পুরপ্রধান তথা টোটো ও ই-রিকশার অস্থায়ী সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘আপাতত শহরে যে ই-রিকশা চলছে সেগুলির তালিকা তৈরি করে আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে একটি স্টিকার লাগিয়ে দেব। তার পরে নতুন করে আর টোটো বা ই-রিকশা শহরে নামানো যাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy