পড়ে থাকা আধার কার্ড দ্রুত বিলির নির্দেশ দিল ডাক বিভাগ। বিভাগের এক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এক বৈঠক করেন সিনিয়র পোস্ট মাস্টার বিকাশকান্তি মিশ্র। পোস্টম্যানদের ওই বৈঠকে ডাকা হয়। বিকাশবাবু নির্দেশ দেন, কার কাছে কত কার্ড রয়েছে তা জানাতে হবে। পড়ে থাকা কার্ডগুলো দ্রুত বিলি করতে হবে।
বুধবার বিকাশকান্তিবাবু বলেন, “বৈঠক প্রয়োজনীয় নির্দেশই দিয়েছি।” ঠিক কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পোস্টম্যানদের? মেদিনীপুরের সিনিয়র পোস্ট মাস্টার বলেন, “বৈঠকে সমস্ত ডেলিভারি স্টাফদের ডাকা হয়েছিল। যাঁর কাছে যত কার্ড রয়েছে, তা জানানোর কথা বলেছি। ওঁরা বলেছে, আমাদের কাছে কিছু কার্ডই রয়েছে। যেগুলো এখনও বিলি করা যায়নি। কার্ডগুলো দ্রুত বিলি করার
কথা বলেছি।”
এলপিজি গ্যাসের ভর্তুকি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের জন্য বর্তমানে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। পড়ুয়াদের স্কলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগেই মেদিনীপুর শহরের অনেকে এই কার্ডের জন্য ছবি তুলেছেন। রসিদও রয়েছে। যদিও অনেকেই কার্ড পাননি বলে অভিযোগ। কার্ড এসে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন ডাকঘরে। অবশ্য তা বিলি হয়নি। এমন অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে ডাক বিভাগ।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার বৈঠক হয়। বিকাশকান্তিবাবু মানছেন, শহরে আধার কার্ড ঠিক মতো বিলি হচ্ছে না বলে অভিযোগ পেয়েছিলাম। কিছু এলাকায় শুধু কার্ড দেওয়া হচ্ছে, খাম দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ পেয়েছিলাম। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই সব অভিযোগ যাতে পরবর্তী সময়ে না ওঠে তা দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বৈঠকে সমস্ত দিক নিয়েই আলোচনা হয়েছে। একাধিক পোস্টম্যানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’’
মেদিনীপুর পুরসভার এক সূত্রে খবর, আগেই শহরের ৭০- ৮০ শতাংশ মানুষের আধার কার্ডের জন্য ছবি তোলা হয়েছিল। তবে সব কার্ড বিলি হয়নি। বিলি হয়েছে ৪০- ৫০ শতাংশ কার্ড। মেদিনীপুরের কালগাং-এর বাসিন্দা সায়ন দাস, শেফালি দাসেরা যেমন গত রবিবার আধার কার্ড পেয়েছেন। তাও তাঁদের খাম দেওয়া হয়নি। মুখবন্ধ খাম ছিঁড়ে শুধু আধার কার্ডটাই দেওয়া হয়েছে। সায়নরা ছবি তুলেছিলেন বছর তিনেক আগে। এতদিন তাঁদের কার্ড ডাকঘরে পড়েছিল। মেদিনীপুর শহরের কাউন্সিলর সৌমেন খানও আধার কার্ড নিয়ে ডাক বিভাগে অভিযোগ জানান। এ বিষয়ে মেদিনীপুরের সিনিয়র পোস্ট মাস্টার বিকাশকান্তিবাবু বলেন, “আধার কার্ড নিয়ে আসা অভিযোগ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত ওই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy