বাধার মুখে হাতি তাড়ানোর অভিযান আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর। মাঠ থেকে এখনও ধান না ওঠায়, হাতি তাড়াতে বারবার হুলা পার্টিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। সকলেই চাইছেন, তাঁর জমির ধান অক্ষত থাকুক। হাতি তাড়াতে গ্রামবাসীরাই সক্রিয় হওয়ায় দল ভেঙে হাতি ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে বিপত্তি আরও বাড়ছে।
বন দফতর জানিয়েছে, বুধবার লালগড়ে প্রশাসন, পঞ্চায়েত ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে একটি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকেই হাতি তাড়ানো অভিযান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত অভিযান বন্ধ থাকবে। তবে হাতি আপন গতিতে যেদিকে যাবে তার গতি রোধ করতে পারবেন না এলাকার মানুষ। ৮-১০ দিনের মধ্যে মাঠ থেকে পাকা ধান উঠে যাবে। তারপরই জোর কদমে অভিযান চালানো হবে।”
গ্রামবাসীর প্রতিরোধ উপেক্ষা করে মঙ্গলবার আড়াবাড়ি থেকে হাতি তাড়াতে অভিযান শুরু করে বন দফতর। আড়াবাড়ি থেকে বেশিরভাগ হাতি সরে গেলেও কোনও হাতিকে লালগড়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়নি। কয়েকটি থেকে গিয়েছে পিড়াকাটার জঙ্গলে। এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে বন দফতরও।
এ ভাবে প্রতিরোধ এলে যে অভিযান অসম্ভব তা বুঝেই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকে প্রায় সকলেই জানান, যেহেতু মাঠের বেশিরভাগ ধানই প্রায় পেকে এসেছে, ৮-১০ দিনের মধ্যেই পাকা ধান কেটে তুলবেন কৃষকেরা, তাই এই ক’দিন অভিযান বন্ধ রাখার আবেদন জানান সকলেই। যাতে হাতির দল শস্যহানি না ঘটাতে পারে সে জন্য মাঠে নামলেই যাতে ফের জঙ্গলে হাতিকে ঢোকানো যায় সে জন্য হুলা জ্বালানোর তেল দেওয়ার দাবিও করা হয়েছে। বন দফতরও তাতে রাজি। বন দফতরের আশা, মাঠ থেকে ধান উঠে গেলে অভিযানে সকলের পূর্ণ সহযোগিতা মিলবে। তখন সহজেই হাতির দলকে ঝড়খণ্ড সীমানায় পৌঁছে দেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy