চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন হেনেস্থার অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে কাঁথি মহিলা থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সাগর দাস কাঁথি থানা এলাকার কাপাসদা গ্রামের বাসিন্দা। বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বয়স ন’বছর। তার বাড়ি জুনপুটে। চতুর্থ শ্রেণির ওই শিশুর বাবা দিনমজুর। আর্থিক অনটনের জেরে তিন বছর বয়স থেকেই ওই শিশু টগরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। নির্যাতিতার মামিমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় ওই ঘটনার অভিযুক্ত সাগর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ সাগর টগরিয়ায় মেয়েটির মামার বাড়িতে আসে। সে সময় ওই শিশু ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিল না বলে দাবি মেয়েটির মামার পরিবারের। সেই সুযোগেই সাগর মেয়েটির উপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। এরপর সাগর বাড়ি চলে যায়। কিন্তু মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন বাড়ির লোকেরা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব কথা সামনে আসে। এরপর মেয়েটির পরিজনেরা কাপাসদা গ্রামে পৌঁছে সাগরকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁথি মহিলা থানার পুলিশ। তারা সাগরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়েটির মামা কাঁথি মহিলা থানায় সাগরে বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করে। তার পরেই পুলিশ সাগরকে গ্রেফতার করে। মহিলা থানার পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
শুক্রবার অভিযুক্ত সাগরকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিন নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। নির্যাতিত মেয়েটির মামী এ দিন বলেন, “ঘটনার সময় আমরা বাড়িতে কেউ ছিলাম না। বাগানে গিয়েছিলাম। সেই সুযোগে আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় সাগর এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনা জানালে মেয়েটিকে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিল সাগর।’’ এদিকে এ দিন কাঁথি আদালতে যাওয়ার পথে সাগর সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি এই কাজ করিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy