Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

কান ছিঁড়ে ছিনতাই দুল, দাঁতনে অভিযোগ

মঙ্গলবার রাতে দাঁতন-২ ব্লকের সাবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনেশ্বরপুরের ঘটনা। যদিও শুক্রবার সকালে বেলদা থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:১৬
Share: Save:

রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে মহিলার কান কেটে সোনার দুল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার রাতে দাঁতন-২ ব্লকের সাবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনেশ্বরপুরের ঘটনা। যদিও শুক্রবার সকালে বেলদা থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতির রাতে বাড়িতে শুয়েছিলেন তৃণমূলের দিঘাপুকুর বুথ সভাপতি রামকৃষ্ণ কর ও তাঁর স্ত্রী মুনিরানি কর। অভিযোগ, সেই সময় বাড়িতে ঢুকে এক যুবক মুনিরানির দুই কান থেকে দুল টেনে ছিঁড়ে নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনায় জখম মুনিরানিদেবীকে স্থানীয় খণ্ডরুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। রামকৃষ্ণবাবুর দাবি, ঘটনার পরদিন বুধবার জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়িতে এ বিষয়ে জানালেও মামলা রুজু হয়নি। এ দিন অবশ্য মামলা রুজু করেছে বেলদা থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল দীর্ঘদিনের। এর জেরে সাবরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আগে একাধিকবার গোলমালও বেধেছে। তৃণমূলের দিঘাপুকুর বুথ সভাপতি রামকৃষ্ণবাবুর দাবি, তিনি এমন ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাঁর ওপর দলের একাংশের ক্ষোভ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাঁকে হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় বাড়ির পিছনের একটি ভাঙা অংশ দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে এক যুবক। বাইরে ছিল আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর কানে থাকা একজোড়া দুল ছিঁড়ে নিলে চেঁচিয়ে ওঠেন মুনিরানিদেবী। আওয়াজ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করেন রামকৃষ্ণবাবুও। অবশ্য ততক্ষণে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। রামকৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, কয়েকজন সিপিএম থেকে আমাদের দলে এসে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি এ সবের বিরোধী। তাই তাঁকে নানা সময়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। স্ত্রীর কান ছিঁড়ে কে দুল নিয়ে গিয়েছে তা তাঁরা দেখেননি। কিন্তু অনুমান করছেন এই কাজে তারাই যুক্ত।

রামকৃষ্ণবাবুর আরও দাবি, গত বুধবার জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়িতে তিনি ঘটনার কথা জানান। তবে ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত তা তাঁরা বলতে পারেননি। ওই দিন ঘটনার অভিযোগ গ্রহণ করে মামলা রুজু হয়নি। তবে এ দিন ঘটনাস্থলে যান বেলদা থানার ওসি। তার পরে অভিযোগ গ্রহণ করে ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করে পুলিশ। রামকৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, তাঁরা অভিযোগ করার পরেও মামলা রুজু না করে পুলিশ মীমাংসা করে নিতে চাইছিল। কিন্তু তাঁরা তা চাইনি। তাঁরা চান, প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করুক পুলিশ। বেলদা থানার পুলিশের অবশ্য দাবি, জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়িতে ঘটনার কথা জানানো হলেও রামকৃষ্ণবাবুদের কথায় নানা অসঙ্গতি ছিল। তাই তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখার পরে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Ear ring Dantan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE