দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অবশেষে তা পূরণ হতে চলেছে। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের জন্য রাতে থাকার প্রতীক্ষালয় তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
পূর্ত দফতরের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নিবার্হী প্রদীপ বাস্তুকার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কাজ শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি।
ঘাটাল হাসপাতালের সুপার কুনাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের আর্থিক সাহায্যে তৈরি হবে এই প্রতীক্ষালয়। এতে রোগীর বাড়ির লোকজনদের হয়রানি কমবে। মহিলাদের জন্যও থাকার আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।”
জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আগে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল ছিল। সম্প্রতি চালু হয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। দু’টি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৫৮০টি শয্যা রয়েছে। যদিও ৩০০ শয্যার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালটিতে এখনও সমস্ত বিভাগ চালু হয়নি। কিন্তু ২৮০ শয্যার ঘাটাল হাসপাতালে বছরের অধিকাংশ সময় রোগীর চাপ বেশি থাকে। ফলে শয্যা না পেয়ে মেঝেতেও ভর্তি থাকতে বাধ্য হন রোগীরা। শুধু ঘাটাল মহকুমাই নয়, ঘাটাল হাসপাতালের উপর দুই মেদিনীপুরের একাধিক ব্লক এবং হাওড়া ও হুগলির চার-পাঁচটি ব্লকের মানুষ নির্ভরশীল।
কিন্তু হাসপাতাল চত্ত্বরে রোগীর আত্মীয়দের বিশ্রাম নেওয়া এবং রাতে থাকার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর পরিজনদের। রাতে থাকার প্রতীক্ষালয়ের দাবি উঠেছিল অনেক আগেই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও ভ্রক্ষেপ ছিল না বলে অভিযোগ। হাসপাতালের পরিসংখ্যান বলছে, হাসপাতালে দিনে গড়ে তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো রোগীর পরিজন থাকেন। কাছকাছি কোনও লজও নেই। ফলে শীতকালে এবং বর্ষাকালে সমস্যা বাড়ত।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, সম্প্রতি ঘাটাল হাসপাতালের ভিতরেই চালু হয়েছে সুলভ শৌচাগার। এবার শৌচাগার সংলগ্ন হাসপাতালেরই নিজস্ব জমিতেই তৈরি হচ্ছে ওই প্রতীক্ষালয়। এর জন্য ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়েছে। ভবনটির নীচের তলায় রোগীর আত্মীয়েরা দিনের বেলায় বিশ্রাম নেবেন। এজন্য শতাধিক চেয়ার থাকবে। চলবে পাখা। দোতলা এবং তিনতলায় মোট ছ’টি ঘর রয়েছে। সহকারী বাস্তুকার অমিত চৌধুরী বলেন, ‘‘একটি ঘরে পঞ্চাশ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। থাকবে জেনারেটরের সুবিধাও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy