(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী। জাস্টিন ট্রুডো (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ার পর খলিস্তানি বিতর্কে সুর নরম করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার সে দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ‘‘খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কানাডায় শিখদের প্রতিনিধিত্ব করেন না।’’
কানাডার ব্র্যাম্পটনে একটি হিন্দু মন্দিরে খলিস্তানি চরমপন্থীদের হামলার পর বুধবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার পরেই কানাডা পার্লামেন্টে আয়োজিত দীপাবলি এবং শিখেদের ‘বন্দি ছোড়’ উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রুডো মন্ত্রিসভার সদস্য ডেভিড মরিসন গত ৩০ অক্টোবর পার্লামেন্টের সংশ্লিষ্ট কমিটিকে জানিয়েছিলেন, মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের নির্দেশে কানাডায় খলিস্তানিদের উপর হামলা এবং ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটছে। তার আগে কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যার অভিযোগ সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে নিশানা করেছিল ট্রুডো সরকার। এরই মধ্যে কানাডা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার টরন্টোর ভারতীয় দূতাবাস যাবতীয় সামাজিক কর্মসূচি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাতিল করে দেয়।
খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পরে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। বস্তুত, তার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। ট্রুডোর ওই অভিযোগের পর, প্রধানমন্ত্রী মোদী অভিযোগ করেছিলেন, ভারত ভাগ করতে চাওয়া মৌলবাদী শক্তি খলিস্তানপন্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে কানাডা। সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, নয়াদিল্লি তাঁর দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানতে চাইছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy