Advertisement
১১ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus Lockdown

বিদ্যুৎ ও জলের দাবি, অবরোধ-বিক্ষোভ

অবিলম্বে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু ও পানীয় জলের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন সকাল ৯টা থেকে হলদিয়াগামী ওই জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন।

তমলুক পুরসভার সামনে রাস্তা অবরোধ। মঙ্গলবার।

তমলুক পুরসভার সামনে রাস্তা অবরোধ। মঙ্গলবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০৪:৫০
Share: Save:

ঘূর্ণিঝড় আমপানের পর ছ’দিন কেটে গেলেও এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। গরমে নাজেহাল অবস্থা। এ ছাড়াও এলাকায় জল সরবরাহ প্রকল্প অচল থাকায় পানীয় জলের জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। এমন অভিযোগে মঙ্গলবার তমলুকের কাকগেছিয়া গ্রামের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন এলাকার তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা।

অবিলম্বে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু ও পানীয় জলের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন সকাল ৯টা থেকে হলদিয়াগামী ওই জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন। ফলে সড়কে চলাচল করা বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি আটকে পড়ে। প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ চলার পর তমলুক থানার পুলিশ আলোচনা করে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তমলুক শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের লাইন মেরামতির ব্যবস্থা করা হয়নি। এর ফলে কাকগেছিয়া, যোগীখোপ ও ভাণ্ডারবেড়িয়া গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে অন্ধকারের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। পানীয় জল নিয়ে দুর্ভোগের শিকারও হতে হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ত্রিপল না পাওয়ায় তমলুক পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখান শহরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে পুরসভা অফিসে আসেন শহরের বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের দাবি, গত রবিবার পুরসভা অফিসে ত্রিপল বিলির সময় তাঁরা এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা ত্রিপল পাননি। পুর কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিলেন, আগামী মঙ্গলবার পুরসভা অফিস থেকে ত্রিপল বিলি করা হবে। কিন্তু পুরসভা অফিসে এসে দেখতে পান অফিস তালা বন্ধ। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে পুরসভা অফিসের সামনে কয়েকশো বাসিন্দার বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে তমলুক থানার পুলিশ। পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘এদিন ত্রিপল বিলির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। একটি রাজনৈতিক দল গুজব ছড়িয়ে এটা করেছে।’’

অন্য দিকে, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন কাঁথি শহরের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারাও। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বুধবার ঝড়ের জেরে এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ দফতরের চেষ্টায় শহরের কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবারই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। শুক্রবার ও শনিবার গোটা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। কিন্তু শহরের কিছু জায়গায় লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং হচ্ছে। শহরে কোথাও পানীয় জলও মিলছে না। স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁথি শহরের আঠিলাগড়ি, কুমারপুর, শেরপুর-সহ বিভিন্ন স্থানে পানীয় জল ঠিক মতো মিলছে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Cyclone Amphan Cyclone
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy