দোল উপলক্ষে দেশের বিরাট অংশে যখন উদ্দাম রং খেলার ছবি দেখা যায়, শান্তিনিকেতনে তখন শান্ত ভাবে বসন্ত উৎসব পালন হয়। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হবে না।
গত কয়েক বছর ধরেই আগের মতো বিরাট আকারে বসন্ত উৎসব করছে না বিশ্বভারতী। দোলের দিনের আগেই ঘরোয়া ভাবে উৎসব পালিত হচ্ছে। এ বারও বিশ্বভারতী জানিয়ে দিয়েছে, বসন্ত উৎসব তারা করবে না। পরিবর্তে নিজেদের মতো করে তা উদ্যাপন করবে। সোমবার সন্ধ্যায় গৌর প্রাঙ্গণে বসন্ত বন্দনা ও রাতে বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে বসন্তোৎসবের সূচনা করা হল। আজ, মঙ্গলবার ভোরে বৈতালিক ও সকালে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। তবে এ বারেও বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসবে বাইরের কেউ যোগ দিতে পারছেন না। মঙ্গলবার রবীন্দ্রভবনও পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বসন্তোৎসবের সন্ধ্যায় গৌরপ্রাঙ্গণে হবে সঙ্গীতভবনের উপস্থাপনা রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’। সঙ্গীতভবন তো বটেই, অন্য ভবনের ছাত্রছাত্রী, গবেষক, কর্মী-শিক্ষকেরাও এতে যোগ দিচ্ছেন। বাইরের কারও প্রবেশাধিকার না থাকলেও ভিড়ের আশঙ্কা করছে বিশ্বভারতী। ফলে, জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে মঙ্গলবার উপাসনাগৃহের সামনে থেকে সঙ্গীতভবন পর্যন্ত রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “ওই রাস্তায় যতটা সম্ভব যান নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হবে।” বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, “এই উৎসব সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্বভারতীর নিজস্ব অনুষ্ঠান। তাই আমরা বাইরের কাউকে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারছি না।” সমাজমাধ্যমে অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)