Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Jhargram

Elephant Attack: মৃতের তালিকায় সাংসদ স্বজনও

বুধবার রাতে হাতির হানায় মৃতদের অন্যতম বছর পঁয়ষট্টির রামেশ্বর বাস্কে হলেন কুনারের কাকা-শ্বশুর।

দুবরাজপুর মোড়ে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

দুবরাজপুর মোড়ে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২২ ০৯:৩৬
Share: Save:

হাতির হানায় স্বজন হারালেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমও।

বুধবার রাতে হাতির হানায় মৃতদের অন্যতম বছর পঁয়ষট্টির রামেশ্বর বাস্কে হলেন কুনারের কাকা-শ্বশুর। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে শহর ও লাগোয়া গ্রামীণ এলাকার বাইপাস রাস্তায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বনকর্মী ও হুলাপার্টির টহলদারির দাবি জানিয়ে এসেছেন কুনার। সাংসদ বলেন, ‘‘বুধবার রাতে আমার বাড়ির কাছেই হানা দিয়েছিল হাতি। বিষয়টি সংসদের অধিবেশনেও তুলব।’’

বুধবার শাবক সমেত দলছুট হাতি ঢুকে পড়েছিল শহরের উপকন্ঠে কন্যাডোবা এলাকায়। সেখানেই কুনারের বাড়ি। সেখানে চার সাইকেল আরোহীকে জখম করে হাতিটি ঢোকে শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাগেড়িয়ায়। ওই চার সাইকেল আরোহীর মধ্যেই ছিলেন সাংসদের পরিজন রামেশ্বর। তাঁর এবং ভূষণ মাহাতো নামে আরেক সাইকেল আরোহীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বেনাগেড়িয়াতেও দেবী মণ্ডল নামে এক প্রৌঢ়াকে মারে হাতি। মৃত দেবীর দেওর বাদল মণ্ডলের আক্ষেপ, ‘‘বাঁকুড়ার লুড়কা গ্রাম থেকে বৌদি চিকিৎসক দেখানোর জন্য আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। রাতে উঠোনো বসে গল্প করার সময়ে এমন বিপর্যয় হবে ভাবিনি।’’

রাতে হুলা পার্টি ও বনকর্মীরা মিলে হাতিগুলিকে খেদিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে শহরের উপকন্ঠে দুবরাজপুর মোড়ে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। রেঞ্জ অফিসার (ঝাড়গ্রাম) প্রদীপ সেনগুপ্ত ঘটনাস্থলে গিয়েও অবরোধ তুলতে পারেননি। দুপুরে সাংসদ অবরোধস্থলে গিয়ে জানান, হাতির সমস্যা মেটাতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন। বিকেল চারটে নাগাদ এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্যের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। হাতির হানায় জখম সনু ঘোষকে বৃহস্পতিবার কটকের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কালু মুর্মু নামে আরেক জখম ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, শহরের কাছাকাছি হাতি আসার আগাম খবর বন দফতরের কাছে ছিল না। বিক্ষোভের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের কার্যালয় তালাবন্ধ ছিল। বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা বলছেন, ‘‘পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন দফতর ও রাজ্য সরকার মৃত পরিবারের পাশে রয়েছে। এমন ঘটনা এড়াতে দফতরকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।’’ এদিনই মৃতের পরিজনদের হাতে সরকারি ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন তিনি। ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) শেখ ফরিদ বলেন, ‘‘বন কর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Jhargram BJP MP Kunar Hembram elephant attack
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy