এমন রাস্তাতেই চলে গাড়ি।—নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গলমহলের উন্নয়নে খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তা ঘাট। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে ঢের। অথচ সেই তালিকায় নেই একদা মাওবাদীদের ধাত্রীভূমি বাঁশপাহাড়ি অঞ্চলের পচাপানি-চাকাডোবা রাস্তাটি।
চাকাডোবা থেকে বড়ডাঙা, পচাপানি, জরমহুল হয়ে বাঁশপাহাড়ি চক পর্যন্ত এই মাটির রাস্তাটি দিয়ে এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা নিত্য যাতায়াত করেন। এই রাস্তা দিয়ে পচাপানি থেকে পুতলাডাঙা মোড় হয়ে কম সময়ে বাঁকুড়ার বারিকুল ও রাইপুরে যাওয়া যায়। সেই কারণে পণ্যবাহী লরি ও যানবাহনও চলে এই রাস্তায়। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার পড়ুয়ারা বাঁশপাহাড়ির হাইস্কুলে যায়। সাইকেলে দশ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়ার রাউতাড়ায় যান কলেজ পড়ুয়ারা। প্রায়ই পড়ে গিয়ে সাইকেল ও বাইক আরোহীরা জখম হন। বর্ষাকালে অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়। তখন এক হাঁটু কাদার চোটে গাড়ি চাকা গড়ায় না।
খন্দে ভরা ৬ কিলোমিটারের মাটির এই রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পিচের রাস্তা করার জন্য বাম আমলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মাওবাদী সন্ত্রাসপর্বে রাস্তাটির কাজ হয়নি। রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পরে তৃণমূলের জমানার সাড়ে পাঁচ বছরেও রাস্তাটি পাকা হয়নি। পচাপানির বাসিন্দা সাধন দাস বাঁকুড়ার ঝিলিমিলির স্কুলে শিক্ষকতা করেন। সাধনবাবুর অভিযোগ, “প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে দুর্গমতার খন্দপথে কার্যত বন্দি হয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী।”
প্রতি সোমবার পচাপানি গ্রামে বড় হাট হয়। কিন্তু বেহাল রাস্তার কারণে একাংশ ব্যবসায়ী হাটে আসতে চান না। সমস্যার কথা মানছেন তৃণমূলের ক্ষমতাসীন বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুক্তারানি পাল। তিনি বলেন, “বার তিনেক জেলা পরিষদে লিখিত ভাবে রাস্তাটির জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কিছু হচ্ছে না।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “২০১৭-র গোড়ায় রাস্তাটি তৈরি করার জন্য ব্যবস্থা নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy