মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ জনতার। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁশকুড়া স্টেশন লাগোয়া লেভেল ক্রসিং এলাকায় উড়ালপুল নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন এলাকার মানুষ। ওই লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন আসার বহু আগে থেকেই গেট ফেলে রাখার অভিযোগ রয়েছে বাসিন্দাদের। ওই জায়গায় উড়ালপুল নির্মাণে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না এই অভিযোগ তুলে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাল জনতা। এর জেরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের পাঁশকুড়া খড়্গপুর শাখায় প্রায় দু’ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর রবিবার বিকেলে ৩টে নাগাদ রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র পাঁশকুড়া থেকে মেচগ্রাম যাওয়ার জন্য রওনা হন। পাঁশকুড়ার লেভেল ক্রসিংয়ে তখন গেট পড়ে ছিল। প্রায় ৪৫ মিনিট মন্ত্রীর কনভয় দাঁড়িয়ে থাকে সেখানে। গেট খোলার পর মন্ত্রীর কনভয় রেল লাইন পেরোতে গেলে দু’দিক থেকে অপেক্ষমাণ জনতা মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের দাবি, ওই জায়গায় উড়ালপুল নির্মাণে উদ্যোগী হচ্ছে না রাজ্য। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের আধিকারিকরা। পাঁশকুড়া থানা থেকেও পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রেলের আধিকারিরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করেন। প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ পূর্ব রেলের জিএম পিএস মিশ্র পাঁশকুড়ায় এসে জানিয়েছিলেন, রাজ্য ৫০ শতাংশ টাকা দিলেই রেল পাঁশকুড়ায় লেভেল ক্রসিংয়ের উপর উড়ালপুল নির্মাণ করবে।
মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘আমি নিজেই ওখানে ৪৫ মিনিট আটকে ছিলাম। রেলের কর্মীদের অদক্ষতার জন্যই ওখানে রেল গেট দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকে। রেল ওখানে উড়ালপুল তৈরির কথা আমাদের লিখিত ভাবে জানায়নি।’’
অবরোধের জেরে ওই অংশে লোকাল ট্রেন চলাচলের ওপর প্রভাব পড়ে। হাওড়া-খড়্গপুর ও হাওড়া-পাঁশকুড়া রুটে তিনটি লোকাল ৪৫ মিনিট করে দেরিতে চলে বলে জানান খড়্গপুরের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক কুলদীপ তিওয়ারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy