Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৪৯ হাজার

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কেশপুরে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন কেশপুরের জগন্নাথপুর অঞ্চলের টাপুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মদন পাল।

সৌমেশ্বর মণ্ডল
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০১:২৬
Share: Save:

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কেশপুরে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন কেশপুরের জগন্নাথপুর অঞ্চলের টাপুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মদন পাল। অন্যের জমিতে মজুর খেটে সংসার চালানো মদনবাবুর অ্যাকাউন্ট রয়েছে সাহস পুরেএকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। তাঁর অভিযোগ, ৬ মার্চ সেই অ্যাকাউন্টে গীতাঞ্জলি প্রকল্পের ৪৯ হাজার টাকা জমা হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন পরে টাকা তুলতে গিয়ে তিনি দেখেন, অ্যাকাউন্টে ৪৯ হাজার টাকা নেই। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘বিডিও-কে খোঁজ নিয়ে দেখতে বলব।’’

২০১৫-১৬ অর্থ বর্ষে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার জন্য কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির কাছে আবেদন করেছিলেন মদনবাবু। ব্লক অফিস থেকে বাড়িতে লোক এসে সরজমিন দেখে গিয়েছিলেন। পুরনো বাড়ির ছবি তুলে নিয়েছিলেন। নিয়ে গিয়েছিলেন পরিচয়পত্র, রেশন কার্ড-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তারপরই ৬ মার্চ তাঁর অ্যাকাউন্টে গীতাঞ্জলি প্রকল্পের ৪৯ হাজার টাকা জমা পড়ে বলে মদনবাবুর দাবি। কিন্তু কয়েকদিন পরে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে তিনি দেখেন, সেই টাকা আর অ্যাকাউন্টে নেই। এমনকী তাঁর জমা ২৮৯ টাকাও নেই। যদিও ব্যাঙ্কের ওই শাখার ম্যানেজার দীপক কুমারের দাবি, ‘‘এ রকম ঘটনা জানা নেই। কোনও গ্রাহক এমন অভিযোগ নিয়ে আসেননি। এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’’

গীতাঞ্জলি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন কেশপুর ব্লকেরই ক্ষিরিশমূল গ্রামের বাসিন্দা চন্দনা রাণা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গীতাঞ্জলি প্রকল্পে আমার নাম ছিল। ব্লক অফিস থেকে বড়িতে এসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছে। কিন্তু তারপর বহুদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা পাচ্ছি না।’’ তিনিও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। কেশপুরের মঙ্গলসান্ডা গ্রামের বাসিন্দা শেখ বেলাল হোসেন আবার ‘নিজ ভূমি নিজ গৃহ’ প্রকল্পে নাম থাকলেও টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ১৮ জন টাকা পাচ্ছি না। ব্লক স্তরে বহুবার জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানালাম।’’ কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘বিভিন্ন প্রকল্পে বাড়ি তৈরি টাকা দেওয়া হচ্ছে। আবেদনকারীর বাড়ির অবস্থা সরজমিনে দেখে তারপর টাকা দেওয়া হয়। ফলে, কিছুটা সময় তো লাগবেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bank Money Vanished
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE