এক ব্যক্তির রহস্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটল তমলুকে। তমলুকের নারায়ণদাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা সমীর দাসকে শুক্রবার বাড়ি থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার হাসপাতালে সমীর দাসের (৩৫) মৃত্যু হয়। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনাচক্রে, শনিবার সকালে থেকে সমীরবাবুর স্ত্রী ও এক প্রতিবেশীর খোঁজ না মেলায় রহস্য আরও দানা বেঁধেছে। মৃতের দাদা-সহ স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে এক প্রতিবেশীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সমীর আপত্তি করায় পরিবারে অশান্তি চলছিলই। তাঁর জেরেই সমীরকে মারধর করে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যদিও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহর লাগোয়া নারায়ণদাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা সমীর দাসের স্ত্রী মিনু দাস প্রতিবেশী গোপাল দাসঅধিকারীর সঙ্গে রাজমিস্ত্রির শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে যেতেন। কাজের সূত্রে গোপালের সঙ্গে মিনুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলেও অভিযোগ। এনিয়ে আপত্তি করায় কযেকদিন ধরে সমীরের পরিবারে অশান্তি চলছিল। এরপর শুক্রবার রাতেও এনিয়ে সমীরের সাথে স্ত্রীর বচসা হয়। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরা সমীরকে বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার সকালে সমীরবাবুর মৃত্যু হয়। সমীরের দাদা গৌতম দাস অভিযোগ করে বলেন, “শুক্রবার সকালে ভাইকে তাঁর বাড়ির ভিতরে কীটনাশক খেয়ে গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। সেই সময় স্ত্রী বাড়িতে থাকলেও সমীরকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়নি। প্রতিবেশীদের সাহায্যে আমরা জেলা হাসাপাতালে নিয়ে আসি। আমাদের অনুমান ভাইকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে। ”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy