শুভেন্দু অধিকারীর ‘গড়’ নন্দীগ্রামে থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে ‘ঘর গোছানোর’ কাজ শুরু করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জানুয়ারির গোড়াতেই সেখানে গিয়ে জনসভা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলন রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সেখানে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করে তৃণমূল। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী শুভেন্দু নন্দীগ্রাম বিধানসভা বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম থেকে জিতেই তিনি রাজ্যে মন্ত্রী হন। গত বুধবার নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু (যদিও পরিষদীয় নিয়মজনিত কারণে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা এখনও গ্রহণ করেননি)। শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি-তে যোগও দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গেই তৃণমূলের একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতা, বিধায়ক বিজেপি-তে গিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের সংগঠনে ধস নামতে পারে বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন। তাঁদের মতে, পরিস্থিতি আঁচ করেই পূর্ব মেদিনীপুর সফরে যেতে পারেন মমতা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অখিল গিরি শনিবার জানিয়েছেন, মমতা জেলায় আসতে রাজি হয়েছেন। তবে দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। অখিল জানিয়েছেন, ‘‘নেত্রী কবে আসবেন, তা তিনি এখনও জানাননি। তাঁর থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই সফরের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ব আমরা।’’
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’এ নাম লিখিয়েছেন এক কোটিরও বেশি, টুইট মমতার
জেলা তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুভেন্দুর দল বদলের রাজনীতিকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন মমতা। তাই তাঁর সম্ভাব্য সভাস্থল শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রাম। ওই সূত্রের মতে, নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠেই সভা করবেন মমতা। আগামী ৫ জানুয়ারি বা তার আশপাশের কোনও তারিখে পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী পা রাখতে পারেন। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে কোনও তথ্যই জানাতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘দলনেত্রী পূর্ব মেদিনীপুরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সেই সভা নন্দীগ্রামে হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’’ সেই সঙ্গে কোন তারিখে মমতা জেলায় আসবেন, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না বলে সুফিয়ান জানান।
আরও পড়ুন: অমিতের সভায় যোগ দিতে মেদিনীপুরের পথে দুর্গাপুরের ‘দাদার অনুগামী’রা