মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
ভোটের আগে ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়ে ক্রমশ তপ্ত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতি। এ বার ভুয়ো ফোন করে কুৎসা রটানো নিয়ে বিজেপির আইটি সেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর আরও চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর গোটা অভিযোগ নস্যাৎ করে তদন্তের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজেপি।
ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়ে অতীতে একাধিক বার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাইবার ক্রাইম শাখাকে এ ব্যাপারে তৎপর হওয়ার নির্দেশও দিয়ে রেখেছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকে একাধিক অভিযোগ আসছে তাঁর কাছে। তৃণমূলের নামে ফোন করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাকে ভোট দেবেন তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। মমতা বলেন, ‘‘প্রথমে মিঠে আলাপ করে পরে গালাগালি দিচ্ছে। ফোন ছাড়ার পরে ভদ্রলোকের সন্দেহ হচ্ছে, ফোন করে তো তৃণমূল গালাগাল দেবে না! নম্বর দেখতে গেলে দেখতে পাচ্ছেন, প্রাইভেট নম্বর থেকে ফোন গিয়েছে। বিজেপি আইটি সেল বা বিজেপির থেকে করা। লজ্জা আছে এদের? কুৎসা করা ছাড়া কোনও কাজ নেই।’’
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, এমন ফোন পেলেই মানুষ যেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি, স্বরাষ্ট্রসচিবকে তার ভিত্তিতে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মমতার কথায়, ‘‘মানুষকে অনুরোধ করব, সব ফোন ধরবেন না। আমাদের নাম করে বললেও জানবেন, বিজেপি-র আইটি সেল চূড়ান্ত নোংরামো করছে। এমন দেখলে এফআইআর করবেন। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানাবেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলব।’’
২১ বছরের যুবতী এবং সাংবাদিকদের গ্রেফতার হওয়ার সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘২১ বছরের যুবতী বা সাংবাদিকদেরও ওরা ছাড়েনি। বিজেপির নামে কিছু করলে টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাদের লোকের নামে এফআইআর হয়ে যায়। এটা দুর্ভাগ্যজনক। অমিত শাহ তো একটা সময় বলেছিলেন, তাদের ৫০ লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। তা দিয়ে এক সেকেন্ডে মিথ্যা খবর ভাইরাল করা সম্ভব। ফেক নিউজ করছে ভেকধারীরা। মানুষকে এ ভাবে বিভ্রান্ত করলে অ্যাকশন হবে না কেন?’’ রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজেপি এ রকম ঘৃণ্য কাজকর্ম করে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হাতে প্রশাসন রয়েছে। তিনি দোষীদের গ্রেফতার করে প্রমাণ করুন, বিজেপি এই ধরনের কাজ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy