ছবি: সংগৃহীত
পাহাড় থেকে আলোচনায় বসার চিঠি পেয়েই সাড়া দিল রাজ্য সরকার। সোমবার এই চিঠি দেয় মন ঘিসিঙ্গের দল জিএনএলএফ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, পাহাড়ের দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে আগামী ২৯ অগস্ট বিকেল চারটেয় নবান্নে বসতে চান তিনি। একই সঙ্গে জানান, বৈঠকে পাহাড়ের মূল দলগুলিকে তো বটেই, পাহাড়ের উন্নয়ন পর্ষদের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
মন ঘিসিঙ্গের চিঠিকে শুভ ও গঠনমূলক সঙ্কেত বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা জানিয়ে দিচ্ছি, শান্তির ও উন্নয়নের পক্ষে যাঁরা কথা বলবেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা আলোচনায় আগ্রহী। যাঁরা শান্তি চান, তাঁরাই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই ডাকের পরে মোর্চা নেতারা অতি মাত্রায় সাবধানী। কট্টরপন্থীরা বন্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে এখনও প্রচার চালালেও কল্যাণ দেওয়ান, স্বরাজ থাপারা মনে করেন, জিএনএলএফের চিঠির প্রেক্ষিতে যদি মুখ্যমন্ত্রী সর্বদল বৈঠক ডেকে থাকেন, তাতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। বরং কবে তাঁরা চিঠি পেতে পারেন, সেটাই এখন আঁচ করার চেষ্টা করছেন। মোর্চা যে বৈঠকে বসতে আগ্রহী, সেটা সোমবারই জানিয়ে দেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ। এ দিন বিনয় বলেন, ‘‘রাজ্যের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেব। আমরাও পাহাড়ে শান্তির পক্ষে।’’ বিনয়কে এ দিন দলের চিফ কো-অর্ডিনেটর ঘোষণা করেছে মোর্চা। ফলে বৈঠকের ডাক এলে তাঁরই যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সরকারি সূত্রে খবর, বিনয়রাও ২৯শের বৈঠকে যোগ দিতে পারেন।
বিস্ফোরণ মামলায় ইউএপিএ দেওয়ার পরে বিমল গুরুঙ্গকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। এখন মোর্চার একটি অংশ মনে করছে, জিএনএলএফ চিঠি দেওয়ায় এক দিক থেকে সুবিধা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পাহাড়ে বন্ধ তোলার দায় মোর্চাকে বহন করতে হবে না।
আলোচনার ক্ষেত্রে আগাম শর্তের কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রশাসনের অনেকেই বলছেন, যে ভাবে তিনি ধৈর্য্য ধরে পাহাড় পরিস্থিতি সামলেছেন, এ বারে তারই ফল ফলবে। শিলিগুড়িতে প্রথম সর্বদল বৈঠকে কার্যত কেউ যোগ দেয়নি। এ দিনও সে কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে জানান, পাহাড়ে টানা দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ চলায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পর্যটন, পড়াশোনা থেকে সরকারি সম্পত্তি, কিছুই বাদ যায়নি।
তবে এ বার কিন্তু পাহাড় থেকেই আলোচনা চেয়ে চিঠি এসেছে। তাই এ বারে মমতার ডাক ব্যর্থ হবে না, মনে করছেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy