নিম্ন আদালত একাধিক বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। জামিন চেয়ে রাজ্যের পরিবহণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র কলকাতা হাইকোর্টে কয়েক বার আবেদন করলেও অবস্থাগতিকে কোনও বারেই তার শুনানি পর্যন্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে জামিনের আবেদন নিয়ে ফের হাইকোর্টেরই দ্বারস্থ হলেন মদনবাবু। আগামী সপ্তাহে ওই মামলার শুনানি হতে পারে বলে হাইকোর্ট সূত্রের খবর।
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ধৃতদের মধ্যে প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদার, ব্যবসায়ী সৃঞ্জয় বসু, ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তা দেবব্রত ওরফে নিতু সরকার-সহ অনেকেই ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কারও জামিন হয়েছে নিম্ন আদালতে। কেউ বা জামিন পেয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশে। কিন্তু কখনও নথির গেরো, কখনও বা গরহাজিরার জটে আটকে গিয়েছে মদনবাবুর জামিনের আর্জির শুনানি।
সারদা মামলায় অভিযুক্ত মদনবাবুকে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারের পরে নিম্ন আদালতে একাধিক বার জামিনের আবেদন জানান পরিবহণমন্ত্রী। কিন্তু প্রতি বারেই তা খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্টেও জামিনের আবেদন জানান মদনবাবু। কিন্তু বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সেই আবেদন শুনতেই চাননি।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের কার্যালয় শেষ পর্যন্ত জামিনের মামলাটি পাঠিয়ে দিয়েছিল বিচারপতি নিশীথা মাত্রের আদালতে। কিন্তু মদনবাবুর আইনজীবীরা বিচারপতি মাত্রের আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে আলিপুর জেলা জজের আদালতে জামিনের আবেদন জানান। সিবিআই আবার জেলা জজের আদালত থেকে মামলাটি সরিয়ে আনার জন্য আর্জি জানায় হাইকোর্টে। বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ জামিনের মামলাটি কলকাতা নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারকের আদালতে পাঠান শুনানির জন্য। সেই আদালতও মদনবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। তার পরে বৃহস্পতিবার ফের হাইকোর্টের বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত ও বিচারপতি শিবসাধন সাধুর আদালতে ওই আবেদন পেশ করেছেন মদনবাবুর আইনজীবী।
এ দিনই আলিপুর জেলা জজের আদালতে সারদা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সন্ধির অগ্রবালের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। কিন্তু সিবিআইয়ের কৌঁসুলি কে রাঘবচারিয়ালু হাজির হতে না-পারায় সেই মামলার শুনানি হয়নি। সন্ধিরের কৌঁসুলি বিপ্লব গোস্বামী জানান, আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিযুক্তকে ল্যান্সডাউন রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করাতে হবে। ওই জেলের সুপার আদালতের সেই নির্দেশ মানেননি। সন্ধিরকে এ দিন প্রেসিডেন্সি জেল থেকে দমদম জেলে পাঠানো হয়েছে। আলিপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল দমদম জেলের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন, অসুস্থ সন্ধিরকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করাতে হবে। একই সঙ্গে ওই বিচারক প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন, কেন তিনি অতিরিক্ত মুখ্য বিচারকের নির্দেশ মানেননি, ২০ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
কুণালের আর্জি খারিজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য দু’দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি চেয়েছিলেন সারদা মামলায় ধৃত কুণাল ঘোষ। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সিবিআই আদালতের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী প্যারোলে মুক্তির বিরোধিতা করে জানান, কুণালের বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে ও-ভাবে মুক্তি দেওয়া যায় না। নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুতে বা তাঁর পারলৌকিক কাজে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল সংসদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য কুণালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তার ভিত্তিতেই প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানান কুণাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy