Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

দুষ্কৃতী আটকেই শান্তি চান জৈন

রবিবার ভোট হবে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, দমদম, বসিরহাট, বারাসত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর ও জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে।

নেতাজি ইন্ডোরে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। নিজস্ব চিত্র

নেতাজি ইন্ডোরে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। নিজস্ব চিত্র

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ ও শুভাশিস ঘটক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ০৪:২৪
Share: Save:

ভোট-ষষ্ঠীর ছবি সপ্তমীতে চলবে না বলে সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। আগের ছ’টি দফায় যে-সব জায়গায় ভোট হয়েছে, সেখানকার দুষ্কৃতীদের তাদের এলাকায় আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাহিনীকে টহলের নির্দেশও দিয়েছেন জৈন।

রবিবার ভোট হবে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, দমদম, বসিরহাট, বারাসত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর ও জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে। এ দিন বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের হলে ওই ন’টি কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জৈন। সেখানে তিনি বুঝিয়ে দেন, রবিবারের ভোটে কোনও অশান্তির ছবি দেখতে চায় না কমিশন।

তাই সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে প্রথম থেকে ষষ্ঠ দফার ভোটের এলাকার দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন জৈন। ওই দুষ্কৃতীরা এ বারের ন’টি কেন্দ্রে জড়ো হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত। সোমবার রাতের মধ্যে বারাসত, বসিরহাট, সুন্দরবন, ডায়মন্ড হারবার এবং বারুইপুর পুলিশ জেলা সুপার বাদে অন্যান্য জেলার পুলিশ-প্রধানেরা ওই তালিকা তৈরি করবেন। একই কাজ করতে হবে আসানসোল-দুর্গাপুর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, হাওড়ার পুলিশ কমিশনারদের। এক্সেল শিটে তালিকা তৈরি করে নির্দিষ্ট ই-মেল আইডি-তে পাঠানোর জন্য পুলিশকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচনে রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। প্রশাসনের কর্তাদের মতে, গুপ্ত সোমবার রাতে রিপোর্ট তৈরি না-করলে মঙ্গলবার তা বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকে দিতে পারবেন না। তাই তড়িঘড়ি নির্দেশ দেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

শনিবার বিকেল ৫টার মধ্যে ওই দুষ্কৃতীদের বিষয়ে সতর্কতামূলক আটক নিয়ে সার্টিফিকেট তৈরি করতে হবে। সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট ৭টার মধ্যে কমিশনে জানাতে হবে রাজ্য পুলিশকে। দুষ্কৃতীদের শনিবার থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত এলাকাতেই আটকে রাখতে হবে। ষষ্ঠ দফার নির্বাচন নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট কি না, সেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে জৈন বলেছেন, ‘‘শেষ দফায় নিরাপত্তা কোনও বিষয়ই হবে না। সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে এ দিনের বৈঠকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ-প্রশাসনিক কর্তারা।’’

রবিবারের ভোটে ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে। সব বুথে বাহিনী দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কমিশন। জৈন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক অভিযোগ আসছে। অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে অনেক বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যা হিসেব, তাতে একশো শতাংশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে।’’ সপ্তম দফায় থাকবে ৫১২ কিউআরটি (কুইক রেসপন্স টিম)। তাতে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলেরা থাকবেন। তবে দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে থাকবে বলে জানান দুবে। ১৫ থেকে ১৭ মে সপ্তম দফার ন’টি কেন্দ্র ঘুরে দেখবেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Sudeep Jain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE