পাহারা। প্রতীকী চিত্র।
এক বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটে প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর, ব্যালট বক্স ছিনতাই-সহ বিভিন্ন অভিযোগে তেতে উঠেছিল শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জাঙ্গিপাড়ার তাড়াজল অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়। অভিযোগের তির ছিল রাজ্যের শাসকদলের দিকে। এই এলাকারই নিলারপুর প্রাথমিক স্কুলের বুথে বেলাগাম ছাপ্পা ভোট মারারও অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। দু’টি ক্ষেত্রেই পুনর্নির্বাচন হয়েছিল। সোমবার লোকসভা নির্বাচনে সেই তাড়াজল অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট হল নির্বিঘ্নেই।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তত্ত্বাবধানে ভোট দিয়ে খুশি বছর আশির বৃদ্ধা লিচু মালিক, সত্তর পেরেনো রাধারানি পালরা। ভোট দিয়ে বেরিয়ে দুই বৃদ্ধাই বলেন, ‘‘পরের বার বেঁচে থাকব কিনা জানি না। এ বার নিজের ভোটটা নিজেই দিলাম।’’
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শ্রীরামপুর লোকসভার কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা এলাকায় কিন্তু ভোটপর্ব এ দিন শান্তিতেই মিটেছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিপিএম প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়ও মানছেন তা। উত্তরপাড়া থেকে শুরু করে শ্রীরামপুর, চণ্ডীতলা, ডানকুনি, রিষড়া, চাঁপদানি, বৈদ্যবাটী, শেওড়াফুলি সর্বত্রই ভোটারদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। যদিও বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সকালে জাঙ্গিপাড়ার রঞ্জপুর হাইস্কুলে বেশ কিছু বহিরাগত জড়ো হয়েছিল। আমি সেখানে পৌঁছে আধাসেনাকে বলে তাঁদের সরাই। কোতলপুর ও ফুরফুরার একাধিক স্কুলেও একই ঘটনা ঘটেছে।’’
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ মানেননি। জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থী অযথা অভিযোগ করছেন। আধাসেনা গিয়ে দেখেছে, অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।’’ বিজেপির লোকজন রাজবলহাটে এক তৃণমূল কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। সে কথা মানেনি বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy