কলকাতা বিমানবন্দরে অর্জুন সিংহ। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
দলবদলের দু’দিন পর শনিবার ভাটপাড়ায় ফিরলেন অর্জুন সিংহ। বিমানবন্দরে অর্জুনকে নিতে জড়ো হয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। নির্বাচনী কেন্দ্রে ফিরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগও করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখন অনেক কিছুই বলতে হবে।’’
শুক্রবার ও শনিবার অর্জুনের অনুগামীদের সঙ্গে, দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় তৃণমূল কর্মীদের। তার জেরে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অর্জুন বললেন, “রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে উঠবে না বুঝে আমার অনুগামী এবং বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছে।” বাহুবলি এই নেতা বলেন, “নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আমি চিন্তিত। নিরাপত্তা তুলে নিয়ে আমাকে খুনের চক্রান্ত করা হচ্ছে।” তৃণমূল আমলেই বিটি রোডে পুলিশ দিয়ে তাঁর গাড়ি আটকানোর প্রসঙ্গ তোলেন অর্জুন। এবং এখন বিজেপিতে যাওয়া প্রাক্তন এক তৃণমূল নেতার ইন্ধন ছিল বলে তখন ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন অর্জুন। এ দিন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই দল এমনই, এর পিছনে ওকে, আর ওর পিছনে তাকে লড়িয়ে দেয়।” বিজেপি এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। তবে দিল্লি থেকে ফিরে অর্জুন বুঝিয়ে দেন, ব্যারাকপুর কেন্দ্রে তিনিই প্রার্থী। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অবশ্য বলেন, ‘‘ব্যারাকপুরের মানুষ দীনেশ ত্রিবেদীকে জানেন। অর্জুন চলে যাওয়ায় জনমতে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
শুক্রবারই অর্জুন দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ভাটপাড়া পুরসভার ২২ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। যে চেয়ারম্যান পারিষদকে তাঁর ছায়াসঙ্গী বলা হত সেই মুকসুদ আলম এ দিন অর্জুন শিবির থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে মিছিল করেন। সিপিএম এবং বিজেপি থেকে শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতারা অর্জুনের মজদুর ভনের পাশের সিপিএম অফিসটিতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে বসতে শুরু করেছেন তাঁরা। বেলার দিকে তাঁদের সঙ্গে অর্জুন অনুগামীদের হাতাহাতি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy