বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর মন্তব্যকে ঘিরে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করল বসিরহাট পুলিশ। তৃণমূলের পক্ষেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। ব্যক্তিগত স্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন কেউ কেউ। নির্বাচন কমিশনও তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান বসিরহাটের মহকুমাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসার সুপ্রিয় দাস। কমিশন সূত্রের খবর, তারা বিষয়টির রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে।
মঙ্গলবার বসিরহাটের ভ্যাবলা হাইস্কুল মাঠে এক সভায় সায়ন্তন বলেন, ‘‘সিআরপিএফকে বলা হয়েছে বুথ লুট করতে এলে পা নয়, বুক লক্ষ্য করে গুলি চালাতে। রাজ্য সরকারের পুলিশকে থানায় আটকে রেখে দেব। পুলিশ প্যারেড করবে আর নির্বাচনে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।’’ ‘মা-বোনেরা দা-বঁটি ধার দিয়ে রাখুন’ বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি প্রার্থী। আরও বলেন, ‘‘যারা হুমকি দিতে আসবে, সেই সব গুন্ডা-মস্তানরা একটা মারলে আপনারা দশটা মারবেন। পারলে দু’চারটেকে সাবাড় করে দেবেন।’’
পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে মামলা করেছে, তাতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশকে মারতে উস্কানি দেওয়া, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গন্ডগোল বাধানো, ভোটারদের ভয় দেখানো, হুমকি-সহ বিভিন্ন ধারা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় দলের অন্দরে অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, পুলিশ-প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ হয়েছে দলের তরফে। বিজেপি প্রার্থীকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তাঁরা। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘কর্মী-সমর্থকদের সংযত থাকতে বলেছি। সায়ন্তন হারবে ধরে নিয়েই এ সব নোংরা খেলা শুরু করেছেন।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সায়ন্তন অবশ্য নির্বিকার। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের একাংশের মদতে অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না। গুন্ডারা বন্দুক নিয়ে আমাদের কর্মীদের মারছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই ক্ষোভে ক’টা কথা বলায় পুলিশ অভিযোগ দায়ের করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy