আক্রান্ত: ধাক্কাধাক্কির চোটে রাস্তায় পড়ে বিকাশ ভট্টাচার্য। শনিবার উল্লাসপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
কখনও সারদা, কখনও নারদ, কখনও টেট। মামলায়-মামলায় শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছেন তিনি। সিপিএমের সেই আইনজীবী নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য শনিবার ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে হুগলির গোঘাটের ভাবাদিঘি যাওয়ার পথে উল্লাসপুরে আক্রান্ত হলেন। পথ আটকে কয়েকশো মহিলা-পুরুষ তাঁদের কটূক্তি ও মারধর করে। ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে যান বিকাশবাবু। শেষ পর্যন্ত আর ভাবাদিঘি না-গিয়েই তাঁরা কলকাতা ফিরে আসেন।
ঘটনায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাই জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন বিকাশবাবুরা। বিকাশবাবুর বক্তব্য, ‘‘জীবনে কখনও এমন ঘটনার মুখোমুখি হইনি। ১৯৭২ সালেও নয়। ওরা আমার মোবাইল কেড়ে ফেলে দেয়। কিল-চড়-ঘুষি মারতে থাকে। পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। তারা আমাদের বলে, যেতে পারবেন না। এই রকম অবস্থা এখন পশ্চিমবঙ্গের!’’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে কী লিখলেন আইএএস অফিসার!
যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আরামবাগের এসডিপিও হরেকৃষ্ণ পাই। তবে হুগলির তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের দাবি, ‘‘ওই বিক্ষোভে তৃণমূল ছিল না। বাম আমলে ওই এলাকায় সিপিএমের হাতে খুন হওয়া ‘শহিদ’ পরিবারের লোকেরা ছিলেন।’’ একই দাবি গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদারেরও।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় মহিলা তৃণমূলের মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, ‘দলের নেতাদের মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে সারদা এবং নারদ-কাণ্ডে ফাঁসানো হচ্ছে’। মামলাকারী আইনজীবীদের শাস্তির দাবিও উঠেছিল। বিরোধীরা মনে করছেন, সেই উস্কানিতেই বিকাশবাবুর উপরে হামলা হল। তৃণমূলের নেতাদের নির্দেশেই বিকাশবাবুর উপরে হামলা বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিকাশবাবু যে ভাবে লড়ছেন, তাতে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যে ভাবে আমাকে এবং বিকাশবাবুকে জগাই-মাধাই বলে শাসিয়েছিলেন, তাতেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা উৎসাহিত হয়েছে।’’ এ দিনই রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে গোঘাটের হামলা নিয়ে অভিযোগ জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ দলের নেতা ও বিধায়কেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy