—ফাইল চিত্র।
বাংলার রাজ্য সম্পাদকের পাশাপাশিই আরএসপি-র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ক্ষিতি গোস্বামী। বহরমপুরের ত্রিদিব চৌধুরীর পরে বালুরঘাটের ক্ষিতি, ফের বাংলা থেকে সাধারণ সম্পাদক পেল এই বাম শরিক। দিল্লিতে সোমবার শেষ হওয়া আরএসপি-র সর্বভারতীয় সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় দুই দায়িত্বই সামলাবেন বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতিবাবু। অতীতে যা করেছিলেন বেবি জন। লোকসভা নির্বাচনের পরে কোনও একটা দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে ক্ষিতিবাবুকে। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি ও কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব রেখেই চলতে চান তাঁরা।
অসুস্থতার জন্য আরএসপি-র বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক টি জে চন্দ্রচূড়ন এ বার সম্মেলনেই আসেননি। দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন কেরলের এন কে প্রেমচন্দ্রন এবং বাংলার মনোজ ভট্টাচার্য। তবে নতুন সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁদের কাউকে নিয়েই ঐকমত্য হয়নি। ক্ষিতিবাবু শ্রমিক নেতা অশোক ঘোষের নাম প্রস্তাব করলে তাতেও সিলমোহর মেলেনি। তখন অশক্ত শরীরের, ৭৫ বছরের ক্ষিতিবাবুর নামই চূড়ান্ত হয়। নবগঠিত ৫১ জনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলা থেকে নতুন মুখ সর্বাণী ভট্টাচার্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, গোপাল প্রধান, মৃন্ময় সেনগুপ্ত-সহ ৭ জন।
সম্মেলন শেষে ক্ষিতিবাবু বলেছেন, যেখানে বামেদের কোনও শক্তি নেই, সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির নির্বাচনী বোঝাপড়া হতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়ার প্রশ্নে তাঁরা ‘কট্টরপন্থা’ই বজায় রাখতে চান। এই বিষয়ে রাজ্য বামফ্রন্টে আলোচনা হবে। তবে জানুয়ারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সমাবেশে তাঁদের আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে ক্ষিতিবাবুর মত, তৃণমূলের ‘ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক’ চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy