সোনা পাচার করতে গিয়ে গত ক’মাসে কলকাতা বিমানবন্দরে বেশ কয়েক জন ধরা পড়েছেন। এ বার সোনা সমেত দু’জন হাতেনাতে ধরা পড়ল হাওড়া স্টেশনে। বড়বাজার থেকে ১৮টি সোনার বিস্কুট কিনে বিহারের ছাপরায় যাওয়ার পথে শুক্রবার লক্ষীনারায়ণ প্রসাদ এবং চন্দন কুমার নামে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে আরপিএফ। বিস্কুটগুলিতে দুবাই ও সুইডেনের সংস্থার নাম লেখা। ওজন দু’কেজি ৯৯ গ্রাম। ওই রাতেই ধৃত দু’জন ও আটক সোনা শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে আরপিএফ। বিমানবন্দরের কড়ৈা পাহারা এড়াতেই পাচারকারীরা রেলপথ বেছে নিয়েছিল কি না খতিয়ে দেখছে আরপিএফ। আরপিএফ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে গোপন সূত্র মারফত খবর আসে, বড়বাজার থেকে বিহারের দুই বাসিন্দা সোনা কিনে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পটনা যাবে। সেই মতো সন্ধে থেকেই নজরদারি শুরু করেন বাহিনীর পার্সেল দফতরের অফিসাররা। প্রাথমিক ভাবে আরপিএফের কাছে খবর ছিল, পাচারকারীরা সন্ধে সাড়ে ৭টার অমৃতসর মেল ধরে পটনা যাবে।
এ জন্য ওই ট্রেন ঘিরে তল্লাশি চালান বাহিনীর জওয়ানেরা। কিন্তু কিছুই মেলেনি। এর পরে ফের সোর্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাহিনীর পদস্থ কর্তারা। এ বার খবর আসে, দুই পাচারকারীকে ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। খবর পাওয়ামাত্র আরপিএফ ইনস্পেক্টর সুমন চৌধুরীর নেতৃত্বে চার জনের একটি দল ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে গিয়ে লক্ষীনারায়ণ প্রসাদ এবং চন্দন কুমারকে ধরে ফেলে। দু’জনের কোমরে কাপড়ে জড়িয়ে ১৮টি সোনার বিস্কুট লুকোনো ছিল। কার্বন পেপার ও প্লাস্টিকের টেপ দিয়ে মোড়া ছিল সেগুলি। তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছ, বিমানবন্দরের স্ক্যানারকে ফাঁকি দেওয়া নিয়ে সন্দেহ থাকাতেই পাচারকারীরা রেলপথ বেছে নিয়েছিল। কারণ, কার্বন জড়ানো থাকলে সোনা স্ক্যানারে ধরা পড়ে না। আরপিএফ জানাচ্ছে, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, বিভূতি এক্সপ্রেসে চেপে পটনা গিয়ে সেখান থেকে বাসে ছাপরা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy