অন্ধকারে ডুবে রাস্তা। ছবি: শৌভিক দে।
সল্টলেকের ২১৫এ বাসস্ট্যান্ড থেকে মোল্লার ভেড়ি পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তায় কোনও আলো নেই। এটি ব্যস্ত রাস্তা। কয়েক মাস আগে এ রাস্তায় বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকল্পনা করে বিধাননগর পুরসভা। কিন্তু রাস্তার পাশের ব্যবসায়ীরা সরতে রাজি না হওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি বলে পুরসভার অভিযোগ। অন্য দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অন্ধকারের সুযোগে এই রাস্তায় অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, একাধিক বার স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। উচ্ছেদের কোনও পরিকল্পনা নেই। পুনর্বাসনের কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, পাঁচ নম্বর সেক্টরের এক প্রান্তে ভেড়ি বরাবর রিং রোড তৈরি হওয়ার সময় তাঁদের এই রাস্তায় সরে আসতে বলা হয়েছিল। এখানেও সেই একই সমস্যা। পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি নামে কার্যত উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।
এলাকাটি বিধাননগর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত।
পুরসভা সূত্রে খবর, আগের বাম পুরবোর্ড এই রাস্তাটির সংস্কার করেনি। পাঁচ নম্বর সেক্টর হওয়ার পরে সংলগ্ন এলাকায় বসতি কয়েক গুণ বেড়েছে। ফলে রাস্তাটির উপরে চাপ বহুগুণ বেড়েছে। দায়িত্বে আসার পরে তৃণমূল পুরবোর্ড এই রাস্তার পরিকাঠামোর উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে ছিল। কিন্তু এখনও কাজ শুরু করা যায়নি।
এই রাস্তা দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দা গৌর সাহা। তিনি বলেন, “সন্ধ্যা হলেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঝেমাঝে একদল লোককে মোমবাতি জ্বালিয়ে বসে থাকতে দেখি। আমাদেরই রীতিমত ভয় লাগে। মহিলাদের নিরাপত্তা কেমন হবে বোঝাই যাচ্ছে।” এই রাস্তা দিয়ে রাতে তথ্যপ্রযুক্তির অনেক কর্মী যাতায়াত করেন। এঁদের মধ্যে অনেক মহিলাও আছেন। যেমন পৌলোমী বসু। তিনি বলেন, “গাড়িতে যাতায়াত করলেও রাতে এই রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় করে। দ্রুত আলোর ব্যবস্থা দরকার।” স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রীরা এ নিয়ে একাধিক বার প্রশাসনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন।
বিধাননগর কমিশনারেটের এক পুলিশ কর্তা জানান, ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই রাস্তায় ১০৮টি পোস্ট বসানোর কথা। পাশাপাশি রাস্তাটির সংস্কার, সৌন্দর্যায়ন, জল সরবরাহের পাইপ বসানো, নিকাশি ও পয়ঃপ্রণালীর পরিকল্পনাও আছে। যদিও বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, “স্থানীয় কাউন্সিলর সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy