Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
ট্যাক্সি-কাঁটা ২

হেনস্থার নালিশ নিয়ে হয়রান যাত্রী

ফের মহিলা যাত্রীকে হুমকি দেওয়া অভিযোগ ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে। এ বার ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায়। তবে বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় ট্যাক্সিচালকের পাশাপাশি ওই মহিলার অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকেও। তাঁর দাবি, চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশি সহায়তার বদলে উল্টে হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁকে। তরুণীর অভিযোগ, ট্যাক্সিচালক হুমকি দেওয়ার পরেই তিনি ১০০ ডায়ালে ফোন করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

ফের মহিলা যাত্রীকে হুমকি দেওয়া অভিযোগ ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে। এ বার ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায়। তবে বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় ট্যাক্সিচালকের পাশাপাশি ওই মহিলার অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকেও। তাঁর দাবি, চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশি সহায়তার বদলে উল্টে হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁকে।

তরুণীর অভিযোগ, ট্যাক্সিচালক হুমকি দেওয়ার পরেই তিনি ১০০ ডায়ালে ফোন করেন। কিন্তু বার কয়েক পরে লাইন পেলেও ও পারের পুলিশকর্মী ট্রাফিক বিভাগে ফোন করতে হবে বলে দায় এড়ান। শুধু তা-ই নয়। পরে বিধাননগর বা ব্যারাকপুর কমিশনারেটে ফোন করলে, তারা একে অপরের এলাকা বলে দায় এড়াতে থাকে। অথচ পুলিশ অ্যাক্ট অনুযায়ী, বিপদে পড়লে যে কোনও থানায় ফোন করে অভিযোগ জানানো যায়। সংশ্লিষ্ট থানা বা কন্ট্রোল এক্তিয়ারভুক্ত থানা বা কমিশনারেটকে অভিযোগটি পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু ওই তরুণীর দাবি, এ দিন তাঁকে বারবার বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে হয়েছে শুধু একটি অভিযোগ জানাতে। দু’বার দু’টি কমিশনারেটে ফোন করার পরে অভিযোগ নেওয়া হলেও রাত পর্যন্ত ট্যাক্সি বা চালকের খোঁজ মেলেনি বলে ব্যারাকপুর কমিশনারেট জানায়।

অভিযোগকারিণী জানান, এ দিন সন্ধ্যায় রাজারহাটের অফিসের সামনে থেকে সোদপুর যেতে ট্যাক্সিতে (ডব্লিউবি ০৪ এফ৪৮৪২) ওঠেন তিনি। ওঠার আগেই ৫০ টাকা বেশি দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন চালক। তিনি রাজিও হন। কিন্তু কিছু দূর গিয়ে চালক ডানলপ হয়ে যেতে চাইলে, তিনি বিরাটি দিয়ে যেতে বলেন। ওই তরুণীর দাবি, প্রথমে রাজি না হলেও পরে বিরাটি দিয়েই ওই ট্যাক্সিচালক তাঁকে নিয়ে যান। কিন্তু সোদপুর পৌঁছে ৫০ টাকার বদলে ১০০ টাকা বেশি দাবি করেন।

ওই তরুণীর অভিযোগ, বাড়তি টাকা দিতে রাজি না হয়ে ৫০ টাকা দিয়েই তিনি ট্যাক্সি থেকে নামলে চালক বলে, ‘আপনি কোথায় কাজ করেন, দেখে নিয়েছি। পরের দিন আপনাকে দেখে নেব।’’ এই হুমকি শুনেই ঘাবড়ে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ১০০ ডায়ালে ফোন করেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, পর পর পাঁচ বার চেষ্টা করেও তিনি লাইন পাননি। ষষ্ঠ বারে লাইন পেলে তাঁকে জানানো হয়, এটি ট্রাফিক পুলিশের আওতায় পড়ে। ট্রাফিকে ফোন করে বিষয়টি জানাতে হবে। ওই তরুণী বলেন, ‘‘ট্রাফিকের নম্বর জানতাম না। ইন্টারনেট থেকে নম্বর জোগাড় করে ফোন করি। বলা হয়, এটি কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু আপনি বিধাননগর থেকে ট্যাক্সি ধরেছেন। ওখানে ফোন করুন।’’ ওই তরুণী আরও জানাচ্ছেন, কলকাতা ট্রাফিক কন্ট্রোল তাঁকে বিধাননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক কন্ট্রোলের ফোন নম্বর দেয়।

তরুণীর অভিযোগ, বিধাননগর ট্রাফিক কন্ট্রোল জানায়, ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করতে হবে। ইন্টারনেট থেকে ব্যারাকপুরের নম্বর নিয়ে ফোন করলে তারাও নিজেদের দায় এড়াতে চায়। দ্বিতীয় বার ৭টা ১২ নাগাদ বিধাননগরে ফোন করলে তারা অভিযোগ নিয়ে তরুণীকে ব্যারাকপুরেও অভিযোগ জানাতে বলে। তিনি ফের ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ট্রাফিক কন্ট্রোলের নম্বরে ৭টা ১৭ নাগাদ ফোন করলে, তারা অভিযোগটি নেয়।

তবে রাত পর্যন্ত ট্যাক্সি বা চালকের খোঁজ পায়নি ব্যারাকপুর কমিশনারেট। রাতে সেখানকার কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হয়, তাঁরা সোদপুর থানায় জানিয়েছেন। কিন্তু ট্যাক্সি এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে গেলে তাদের কিছু করার নেই! ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার নীরজ সিংহ বলেন, ‘‘ডিসি ট্রাফিক বিষয়টি দেখছেন। ট্যাক্সিটি ধরার ব্যাবস্থা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Woman passenger taxi driver police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE