স্টেশনের দিকে ছুটে আসছে ট্রেন। সবাই হঠাৎ দেখলেন, লাইনের পাশে ট্রেনের দিকে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে আছেন এক মহিলা ও একটি বালিকা। সবাই বারংবার চিৎকার করে সরে যেতে বললেন তাঁদের। কিন্তু লাভ হল না। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল দু’জনেরই।
শনিবার, নববর্ষের দুপুরে এমনই ঘটনার সাক্ষী হল বালি স্টেশন। তবে লাইন পেরোতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা, না ওই মহিলা মেয়েটিকে নিয়ে আত্মহত্যা করতেই গিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। ওই দু’জনের পরিচয় জানতে পারেনি রেল পুলিশ। হাওড়ার এসআরপি নীলাদ্রি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে লাইন পার হতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’’ রেল পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার বয়স বছর ৩০ এবং মেয়েটির বছর দশেক। পুলিশের অনুমান, ওই দু’জন মা ও মেয়ে।
রেল পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে পূর্ব রেলের মেন শাখার তিন নম্বর লাইন দিয়ে আপ গোঘাট লোকাল বালি স্টেশনে ঢুকছিল। তখনই যাত্রীরা দেখেন, কর্ড শাখার চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে এক মহিলা ও একটি বাচ্চা মেয়ে। যে লাইন দিয়ে গোঘাট লোকাল ছুটে আসছিল, সে দিকেই ঝুঁকে থাকতে দেখা যায় দু’জনকে। কাগজ-বিক্রেতা শুভাশিস সরখেল বলেন, ‘‘সকলেই চিৎকার করে সরে যেতে বলছিলাম। কিন্তু ওরা না সরে আচমকা এগিয়ে যেতেই ট্রেনের ধাক্কায় সব শেষ হয়ে গেল।’’
আর এক ব্যবসায়ী বাপি দাস জানান, বাচ্চাটি ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে পাশেই ছিটকে পরে। তার দু’টি পা বাদ চলে গিয়েছিল, মাথাতেও চোট লাগে। অন্য দিকে, ওই মহিলা ট্রেনের কাউক্যাচারে আটকে ঘষটে ঘষটে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে আসেন। পরে বেলুড় জিআরপি ও বালি আরপিএফের কর্মীরা দেহ দু’টি উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। দু’টি ব্যাগ পাওয়া গেলেও তা থেকে পরিচয় জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy